ঘন কুয়াশার কারণে কয়েক ঘণ্টা বন্ধ ছিল দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথে। তবে কুয়াশার ঘনত্ব কমে যাওয়ায় আবারও ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে রুট দুটিতে।
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া
কুয়াশার ঘনত্ব কমে যাওয়ায় ৯ ঘণ্টা পর রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে পুনরায় ফেরি চলাচল শুরু হয়।
তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারি ব্যবস্থাপক জামাল উদ্দিন। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাতে হঠাৎ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। এ সময় ফেরির মার্কিং বাতির আলো অস্পষ্ট হয়ে পড়ে। এ জন্য দুর্ঘটনা এড়াতে এ নৌরুটে ৯ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
‘তবে কুয়াশার ঘনত্ব কমে যাওয়ায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আবার ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।’
এদিকে দীর্ঘ সময় ফেরি বন্ধ থাকায় এ নৌপথের উভয় ফেরিঘাট এলাকায় তৈরি হয়েছে দীর্ঘ যানজট। দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ৫ কিলোমিটার অংশ জুড়ে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি। এদিকে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দের মোড়ে ঢাকা-কুষ্টিয়া মহাসড়কে রয়েছে ৩ কিলোমিটার পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের সারি।
প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশার মধ্যে দীর্ঘ সময় ফেরি পারের অপেক্ষায় আটকে থেকে ভোগান্তিতে পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা।
মামুন পরিবহণের যাত্রী খাদিজা সুলতানা সাথি বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকেলে গাড়িতে উঠি ঢাকার নবীনগর যাওয়ার জন্য। রাত ১ টায় ঘাটে এসে আটকে আছি। সঙ্গে আমার ছোট মেয়ে আছে। শীতে ঘাটে আটকে থেকে সারারাত চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।’
গোল্ডেন পরিবহণের যাত্রী আব্দুর জব্বার বলেন, ‘ফরিদপুর থেকে ঢাকা যাচ্ছিলাম। রাত সাড়ে ১২টায় ঘাটে আসছি। সারারাত ঘাটে প্রচন্ড শীতে ভোগান্তির শেষ নেই।’
আব্দুর জব্বার শেখকে দেখা যায় বাসস্ট্যান্ডে বসে আগুন পোহাতে।
ঘাটের সহাকারী ব্যবস্থাপক জামাল উদ্দিন জানান, এ মুহূর্তে দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে ১৫টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
শরীয়তপুর-চাঁদপুর
এদিকে ৭ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানিয়েছেন নরসিংহপুর ফেরিঘাটের ঘাট ব্যবস্থাপক আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘নরসিংহপুর ও হরিনাঘাট থেকে ফেরিগুলো পারাপারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।’
তবে ঘাট এলাকায় এখন তিন শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে বলেও জানান তিনি।