ঘন কুয়াশার কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ও শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এতে যাত্রী নিয়ে মাঝনদীতে আটকা পড়েছে চারটি ফেরি। এ ছাড়া ঘাটে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া
দুর্ঘটনা এড়াতে মঙ্গলবার রাত দেড়টা থেকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক শিহাবউদ্দিন।তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাতে হঠাৎ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। এ সময় ফেরির মার্কিং বাতির আলো অস্পষ্ট হয়ে পড়ে।
‘এ জন্য দুর্ঘটনা এড়াতে এই নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেলে পুনরায় আবারও ফেরি চলাচল শুরু হবে।’
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জিল্লুর রহমান জানান, পদ্মায় দুর্ঘটনা এড়াতে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ফেরি চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। এ সময় মাঝনদীতে যাত্রী নিয়ে ৪টি ফেরি আটকা পড়ে। অন্য ফেরিগুলো পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে নোঙর করা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফেরি বন্ধ থাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ বাজার পর্যন্ত মহাসড়কের ৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পাড়ের অপেক্ষায় রয়েছে শত শত গাড়ি। এর মধ্যে রয়েছে চেয়ারকোচ পরিবহন, ট্রাক, প্রাইভেট কার, পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহন। প্রচন্ড শীত ও কুয়াশায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা।
শরীয়তপুর-চাঁদপুর
দুর্ঘটনা এড়াতে রাত সাড়ে ৩টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয় শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌরুটে।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংহপুর ফেরিঘাটের ঘাট ব্যবস্থাপক আব্দুল মোমেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকেই কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যায়, তাই ঝুঁকি এড়াতে শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
এই রুটে সাতটি ফেরি চলাচল করে। এই মুহূর্তে কোনো ফেরি নদীতে নোঙর করা অবস্থায় নেই। নরসিংহপুর ঘাটে চারটি ফেরি এবং হরিণাঘাটের ফেরি যানবাহন নিয়ে অবস্থান করছে। কুয়াশা কেটে গেলে ফেরিগুলো নদী পার হবে।
তবে এ মুহূর্তে নরসিংহপুর ফেরিঘাটে দেড় শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। সময় গড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে বলেও জানান এই ঘাট ব্যবস্থাপক।
স্থানীয় মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘কুয়াশার সঙ্গে বাতাস থাকায় যাত্রী এবং চালকরা দুর্ভোগে পড়েছেন। রাতে পরিবহনের যাত্রীদের নির্ঘুম রাত কেটেছে। ‘কখন কুয়াশা কাটবে আর যাত্রীরা পারাপার হতে পারবেন, তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন অনেকেই। অনেক যাত্রী গাড়ি থেকে নেমে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।’