বরগুনায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এক কিশোরীর পরিবার। আসামির স্বজনরা মামলার সাক্ষীদেরকে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এক কিশোরীকে ধর্ষণ মামলায় বরগুনা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ও তার ছেলে আরিফুল ইসলামকে রোববার রাতে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
কিশোরীর মা বাদী হয়ে সোমবার সকালে বরগুনা থানায় মামলা করেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, নুরুলের বাড়িতে যাতায়াত ছিল ওই কিশোরীর। এক পর্যায়ে নুরুল কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। পরে ঘটনা জেনে নুরুলের ছেলে কিশোরীকে হুমকি দেন এবং তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। কিশোরী বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্ত:সত্ত্বা। বাবা-ছেলের ধর্ষণে ঘটনা ভয়ে কিশোরী কাউকে বলেনি। কিশোরীর মা ঘটনা জেনে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মঙ্গলবার দুপুরে বাদী ও সাক্ষীদের বক্তব্য শোনেন। এ সময় তদন্ত কর্মকর্তার সামনেই নুরুল ইসলামের শ্যালিকা ফরিদা বেগম হুমকি-ধামকি দেন বলে জানান কিশোরীর মা।
কিশোরী ও তার মাকে এলাকা ছাড়া করা হবে বলেও ঘোষণা দেন আসামিদের স্বজনরা।
কিশোরীর খালা বলেন, ‘বুইনের মাইয়ারে লইয়া এহন খুব ডরে আছি। নুরুল ইসলাম খুবই বাজে লোক। নুরুল জেলদিয়া বাইরাইয়া তোগো মাইয়াগোও ধর্ষণ করবো- বলে সাক্ষীদের হুমকি দিচ্ছেন আসামির স্বজনরা।’
এলাকার বাসিন্দা মনির হোসেন বলেন, ‘নুরুল ও তার ছেলে নানা অপরাধে জড়িত। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খোলে না। কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ায় ঘটনা জানাজানি হয়েছে। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও অপরাধীদের সাজা এলাকার দাবি।’
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘মামলার তদন্ত চলছে। কিশোরী ও তার পরিবারের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বাদী ও সাক্ষীদের সব রকম আইনি সহায়তা দেয়া হবে।’