বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইয়াবাসহ আটক মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের মালিক

  •    
  • ৪ জানুয়ারি, ২০২২ ২২:২৬

র‍্যাব জানায়, অভিযোগ ছিল যেভাবে নিরাময় কেন্দ্র পরিচালনা, চিকিৎসা দেয়া ও রোগীদের সেবা দেয়ার কথা, তা সেখানে দেয়া হতো না। রোগীদের মানসিক, শারীরিক ও যৌন নির্যাতন করা হতো।

গাজীপুর নগরীর একটি মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে ইয়াবাসহ আটক করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির মালিকসহ পাঁচজনকে।

ভুরুলিয়া কালাসিকদারের ঘাট এলাকার ‘ভাওয়াল মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্র’ নামের ওই প্রতিষ্ঠানে দিনভর অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

র‍্যাব জানায়, ওই কেন্দ্রে মাদকাসক্তদের ওপর শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতন চালানো হতো বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর ভিত্তিতেই অভিযান চালানো হয়।

প্রতিষ্ঠানটির মালিক হলেন ফিরোজা নাজনীন বাঁধন। তিনিসহ পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন র‍্যাব হেফাজতে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সংবাদ সম্মেলনে জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ওই কেন্দ্রে অভিযান চালানো হয়। অভিযোগ ছিল যেভাবে নিরাময় কেন্দ্র পরিচালনা, চিকিৎসা দেয়া ও রোগীদের সেবা দেয়ার কথা, তা সেখানে দেয়া হতো না। রোগীদের মানসিক, শারীরিক ও যৌন নির্যাতন করা হতো।

কমান্ডার বলেন, ‘এখান থেকে শারীরিক নির্যাতনের ফুটপ্রিন্ট পাওয়া গেছে। বিশেষ করে রোগীদের ঝুলিয়ে পেটানো এবং শারীরিক নির্যাতনের প্রমাণ হিসেবে রশি ও হ্যান্ডকাফ উদ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরণের নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। একটি নিরাময় কেন্দ্র পরিচালনার জন্য যে নিয়ম-কানুন আছে তার অধিকাংশই এখানে মানা হতো না। ভর্তি রোগীদের জন্য কোনো চিকিৎসক ছিল না। দেয়া হতো নিম্নমানের খাবার।

‘২০০৯ সালে কেন্দ্রটি অনুমোদনহীনভাবে শুরু করলেও পরে তার অনুমোদন নেয়া হয়। পরে মালিক ফিরোজা নাজনীন কোনো নিয়ম-কানুন না মেনেই কেন্দ্রটি পরিচালনা করতে থাকেন। চিকিৎসার নামে জোর করে রোগীদের আটকে রাখা হতো।

‘এমনও রোগী রয়েছেন যিনি তিন বছর ধরে এ কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। কোনো অনিয়মের প্রতিবাদ করলে তাদের উপর নির্যাতন করতো মালিকের পালিত কর্মচারীরা। এরকম ৫-৭ জন রোগী পাওয়া গেছে যাদের উপর শারীরিক নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।’

র‍্যাব কমান্ডার জানান, বাঁধন নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্ম করতেন। ওই কেন্দ্র থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৪২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট। বাঁধনসহ প্রতিষ্ঠানটির অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী মাদকাসক্ত।

তিনি আরও জানান, অভিযানের পরে কেন্দ্রটি সিলগালা করে দিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। সেখানে থাকার ২৮ রোগীকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর