চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের অষ্টম ধাপে ৮টিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি।
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে অষ্টম ধাপের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর এক তফসিলে ৭ ফেব্রুয়ারি ১৩৮ ইউপিতে ভোট কারার ঘোষণা দিয়ে এটিকে শেষ ধাপের নির্বাচন বলছিল কমিশন।
মঙ্গলবার সর্বশেষ ঘোষিত তফসিল অনুসারে, অষ্টম ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ১৬ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১৭ জানুয়ারি। আর ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন।
এ ধাপে মনোনয়নপত্র গ্রহণ বা বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করার শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। আপিল নিষ্পত্তি হবে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে। ২৫ জানুয়ারি প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। এ ধাপে ৬টি ইউপিতে ইভিএমে ভোট হবে।
আট ইউনিয়নের মধ্যে রয়েছে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সুখচর ও নলচিরা ইউনিয়ন, সুবর্ণচর উপজেলার চর জব্বর ও চর জুবলি ইউনিয়ন, ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার তারানগর ইউনিয়ন, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার শ্রীফলতলী ইউনিয়ন, ভোলার লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়ন এবং ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়ন।
দেশে মোট ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ আছে। গত জুন থেকে পর্যায়ক্রমে এসব ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। সব মিলে ৭ ধাপে প্রায় ৪ হাজার ১০০ ইউনিয়নে ভোটের ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। বাকি ইউনিয়নগুলোতে মামলা জটিলতার কারণে নির্বাচন হচ্ছে না।
ইউপি নির্বাচনের আট ধাপের মধ্যে ইতোমধ্যেই চার ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। পঞ্চম ধাপ ৫ জানুয়ারি, ষষ্ঠ ধাপ ৩১ জানুয়ারি, সপ্তম ধাপ ৭ ফেব্রুয়ারি এবং অষ্টম ধাপের নির্বাচন ১০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথম চার ধাপের মধ্যে গত ২১ জুন ও ২০ সেপ্টেম্বর প্রথম ধাপের দুই দফায় ৩৬৯ ইউপিতে, ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ৮৩৩ ইউপিতে, তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর ১ হাজার ইউপিতে এবং চতুর্থ ধাপে ২৬ ডিসেম্বর ৮৩৬টি ইউপিতে ভোট হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, পঞ্চম ধাপে ৭০৭টি, ষষ্ঠ ধাপে ২৯১টি, সপ্তম ধাপে ১৩৮টি এবং অষ্টম ধাপে ৮টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ইতোমধ্যে সম্পন্ন হওয়া দশম ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকার প্রার্থীরাই বেশি জয় পেয়েছেন। জয়ের পাল্লায় খুব বেশি পিছিয়ে নেই বিভিন্ন প্রতীক ও স্বতন্ত্র পরিচয়ে অংশ নেয়া একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। তার আগেই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনগুলো শেষ করার পরিকল্পনা নিয়েছে ইসি।