মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রার্থীর এক সমর্থকের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ইমামপুর ইউনিয়নের ইমামপুর গ্রামে মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ইউসুফ খান নামে নৌকার আরও এক সমর্থক আহত হয়েছেন।
গুলিবিদ্ধ জাবের খান আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী হাফিজুজ্জামান খান জিতুর ভাতিজা।
নৌকার প্রার্থীর অভিযোগ, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা গুলি চালিয়েছে।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইসউদ্দিন নিউজবাংলাকে সংঘর্ষের বিষয়টি স্বীকার করলেও, গুলির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেননি।
আহতদের বরাতে ওসি জানান, মঙ্গলবার বিকেলে নির্বাচনি প্রচার চালিয়ে সিএনজিতে করে উপজেলার করিমখাঁ গ্রাম থেকে ইমামপুর নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন তারা। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহর বাড়ির সামনের এলে তাদের ওপর হামলা হয়। এ সময় তারা পালিয়ে যেতে চাইলে জিন্নাহর সমর্থকরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
এতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হাফিজ্জুমান খান জিতুর ভাতিজা জাবের খান গুলিবিদ্ধ হন; আহত হন সঙ্গের একজন।
তাদের প্রথমে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় গুলিবিদ্ধ জাবেরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কামরুন নাহার বলেন, ‘জাবের খানের শরীরে গুলি জাতীয় আঘাত রয়েছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা পাঠিয়ে দিয়েছি। আহত অপরজন আমাদের এখানে ভর্তি।’
এ বিষয়ে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী হাফিজ্জুজামান খান জিতু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর থেকে থেকেই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকজন আমার সমর্থকদের হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। আজ আমার ভাতিজা গুলিবিদ্ধ হল। জিন্নাহর সমর্থকরা অন্তত ৪০ থেকে ৪৫ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেছে।’
এ ঘটনায় নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কিত বলে জানান তিনি ।
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহ বলেন, ‘এটা নির্বাচনের আগের দিনের অপপ্রচার। আমার জয় নিশ্চিত দেখে অপপ্রচার চালাচ্ছে। উল্টো তারা আমার ঘর-বাড়িতে গুলি ও ভাঙচুর চালিয়েছে। এটা প্রশাসনের সবাই এসে দেখে গেছেন।
নিউজবাংলাকে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইসউদ্দিন বলেন, ‘ইমামপুর ইউনিয়নে দুই সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তবে গুলিবিদ্ধের ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই।‘
পঞ্চম ধাপে ৫ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ৭ ইউনিয়নে ভোট।