বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আইপিও তহবিল ব্যবহারের নথি চেয়ে সেনাকল্যাণকে চিঠি

  •    
  • ৪ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:৩১

বিএসইসিতে জমা দেয়া অডিট রিপোর্টে আইপিও তহবিলের ব্যবহার সম্পর্কে উল্লেখ করা হলেও সংশ্লিষ্ট নথি দেয়া হয়নি। ফলে চিঠিতে সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সেকে উত্তোলন করা টাকায় এফডিআর করা হলে তার ফরম এবং টি-বন্ডের সার্টিফিকেশনের কপি জমা দিতে বলা হয়েছে।

পুঁজিবাজারে থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও প্রক্রিয়ায় উত্তলন করা টাকা যেসব খাতে ব্যয় করার কথা অডিট রিপোর্টে তা উল্লেখ থাকলেও সে সম্পর্কিত নথি জমা দেয়া হয়নি। এ কারণে এ সংক্রান্ত ব্যয়ের নথি তলব করে সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সকে চিঠি দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সহ এ সম্পর্কিত চিঠি সম্প্রতি ঢাকা স্টক এক্সেচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) কাছেও দেয়া হয়েছে, বলে নিশ্চিত করেছে বিএসইসি।

সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও মাধ্যমে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ১ কোটি ৬০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ১৬ কোটি টাকা তুলেছে। এই টাকায় স্থায়ী আমানত (এফডিআর), করপোরেট বন্ড ও সরকারি বন্ড বা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগসহ আইপিও প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করা কথা।

বিএসইসিতে জমা দেয়া অডিট রিপোর্টে আইপিও তহবিলের ব্যবহার সম্পর্কে উল্লেখ করা হলেও সংশ্লিষ্ট নথি দেয়া হয়নি। ফলে চিঠিতে সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সেকে উত্তোলন করা টাকায় এফডিআর করা হলে তার ফরম এবং টি-বন্ডের সার্টিফিকেশনের কপি জমা দিতে বলা হয়েছে।

মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং করপোরেট বন্ডে বিনিয়োগের সর্বশেষ পোর্টফোলিও (২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত) সিডিবিএল ডিপি এ রিপোর্টসহ বিস্তারিত তথ্য জমা দিতে হবে। এছাড়া আইপিও খরচের জন্য পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফ্ট বা চেক বা ক্যাশ ভাউচারের কপি জমা দিতে হবে। আর ট্রাস্ট ব্যাংকে কোম্পানিটির আইপিও হিসাবের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের সচিব ফিরোজ সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা পুঁজিবাজারে নতুন। আমাদের ধারণা ছিল শুধু অডিট রিপোর্ট জমা দিলেই হবে, সম্পর্কিত নথি জমা দিতে হবে না। এখন যেহেতু চাওয়া হয়েছে আমাদের কাছে সব কিছু তৈরি আছে। আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই তা বিএসইসিতে জমা দেয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘অডিটরকে আমাদের সব ধরনের আয় ব্যয়ের নথি দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী অডিট রিপোর্ট তৈরি হয়েছে। বিএসইসি থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে হিসেবে কোনো অসঙ্গতি আছে বা কোনো তথ্যের ব্যত্যয় হয়েছে তা বলা ঠিক হবে না।’

আইপিও থেকে তোলা টাকার কতটা ব্যয় করা হচ্ছে তার কোনো স্পষ্ট উত্তর দেননি ফিরোজ সরকার। তিনি বলেন, ‘সিংহভাগ টাকা ব্যয় হয়ে গেছে। বাকি যে টাকা আছে সেগুলোরও নিয়ম অনুযায়ী বিনিয়োগ করা হবে।’

সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স গত বছরের ৭ নভেম্বর পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু করে। ‘এন‘ ক্যাটাগরির ৪০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের মোট শেয়ারের ৬০ শতাংশ আছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ১৫.৯৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৪.০৫ শতাংশ শেয়ার।

মঙ্গলবার কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৮০ টাকায়।

বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, ‘পুঁজিবাজার থেকে যে উদ্দেশ্যে টাকা উত্তোলন করা হয়, সেসব খাতে ব্যয় না করার বিষয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ আছে। অনেক অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া গেছে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কোম্পানিটির কাছ থেকে অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী নথি তলব করা হয়েছে। এটি কমিশনের নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে করা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর