দেখে দেখে রোগীদের টার্গেট করেই ছিনতাই করতেন চুয়াডাঙ্গার আশিকুর রহমান আশিক। সোমবার রাতে গ্রেপ্তারের পর পুলিশকে এমন তথ্য দিয়েছেন তিনি।
গ্রেপ্তার হওয়া আশিক চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ফার্ম পাড়ার বিপ্লব হোসেনের ছেলে। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় তার সহযোগী মিনারুল ইসলামকেও। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, আশিক চুয়াডাঙ্গা জেলার চিহ্নিত ছিনতাইকারী। তিনি শুধু রোগীদের টার্গেট করতেন। কারণ রোগীরা সাধারণত দুর্বল থাকে; অসুস্থতার কারণে তাড়া করতে পারে না। এ জন্য সব সময় হাসপাতালের আশপাশেই ঘোরাঘুরি করেন আশিক।
তিনি আরও জানান, প্রতিবার ছিনতাই করেই ঢাকায় চলে যান আশিক। এক-দুই মাস পর ফেরেন চুয়াডাঙ্গায়।
সর্বশেষ গত ২৫ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে এক শিক্ষিকার দুটি মোবাইল ছিনতাই করে পালিয়ে যান আশিক।
পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছি বকচরপাড়া থেকে আশিককে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্যে ছিনতাই করা একটি মোবাইলসহ সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের গোলাম রাব্বানির ছেলে মিনারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মিনারুলের বিরুদ্ধে মাদক কারবারির অভিযোগ আছে। ১০০ গ্রাম গাঁজার বিনিময়ে ছিনতাই হওয়া একটি মোবাইল মিনারুলকে দিয়েছিলেন আশিক।
মোবাইল উদ্ধারের সময় মিনারুলের বাড়ি থেকে ২৫০ গ্রাম গাঁজাও উদ্ধার করা হয়। মিনারুলের বিরুদ্ধে ৩টি এবং আশিকের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে।