দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার যে সিদ্ধান্ত, তা মানেন না ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সভাপতি সাবিনা আক্তার তুহিন।
কারণ দর্শাতে চিঠি দেয়ার সাত দিন পরও জবাব না পাওয়ায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নাজমা আক্তারের সই করা এক চিঠিতে রোববার তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে দলের পক্ষ বিষয়টি জানানোর পর নিউজবাংলাকে প্রতিক্রিয়া দেন সাবিনা আক্তার তুহিন।
তিনি বলেন, ‘অব্যাহতি মানার প্রশ্নই আসে না। আমি আমার কাজ করে যাব। আমি নেত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলব। এরপর তিনি যদি আমাকে দল থেকে বাদ দেন, তবে দল ছেড়ে চলে যাব।’
পুরোনো দ্বন্দ্বের কারণেই যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার তাকে অব্যাহতি দিয়েছেন বলে অভিযোগ তার।
যুব মহিলা লীগের এই নেত্রী বলেন, ‘আমাকে উনি দু চোখে দেখতে পারেন না। এ জন্যই উনি এমনটা করেছেন। আর সামনে সংগঠনের সম্মেলন উনি চান না আমি প্রার্থী হই।’
তুহিনকে অব্যাহতি দেয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘গত ২১ ডিসেম্বর দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাংগঠনিক অদক্ষতা, সংগঠনের নিয়মশৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সভাপতিসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে মানহানিকর বক্তব্য দেয়ায় কারণ দর্শাতে চিঠি দেয়া হয়েছিল।
‘সাত কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে চিঠির জবাব দিতে বলা হয়েছিল। ওই চিঠি কুরিয়ার সার্ভিস, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেজের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল।’
সাত কার্যদিবস পার হয়ে গেলেও চিঠির জবাব না পাওয়ায় দলীয় গঠনতন্ত্রের ১১(খ) ও ১২(খ) ধারায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সভাপতির পদ থেকে সাবিনা আক্তার তুহিনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে অব্যাহতির চিঠিতে বলা হয়।
এর আগে কারণ দর্শানোর চিঠিতে বলা হয়, ‘গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় অসাংগঠনিক কাজ করেন তুহিন।’
সেখানে সভাপতি নাজমা আক্তারসহ অনেককে অপমান, নাজেহাল এমনকি শারীরিকভাবে আহত ও লাঞ্ছিত করাসহ তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয় চিঠিতে।
সাবিনা আক্তার তুহিন ২০১৪ সালে সংরক্ষিত নারী আসন-৩৫ থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৪ আসন থেকে মনোনয়ন চেয়ে পাননি তিনি।