নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় দুই হাজার স্থানীয় গরিব ও দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর করফা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন তিনি। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ ধরণের জনসেবামূলক কর্মকান্ড অব্যাহত থাকবে বলে জানান বাহিনীর প্রধান।
এর আগে সেনাবাহিনী প্রধান লোহাগড়ায় এসে পৌঁছালে তাকে অভ্যর্থনা জানান পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল এফ এম জাহিদ হোসেন এবং জিওসি ৫৫ পদাতিক ডিভিশন ও যশোরের এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. নূরুল অনোয়ার।
সেনাবাহিনী প্রধানের দিক-নির্দেশনায় প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শীত মৌসুমে বিভিন্ন এলাকার অসহায় ও দুস্থ মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র ও ত্রাণ বিতরণ এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়াসহ নানাবিদ জনসেবামূলক কাজ পরিচালনা করছে। সেনাবাহিনীর এধরনের জনসেবামূলক কার্যক্রম দুস্থ ও অসহায় মানুষদের শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা করতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
শীতবস্ত্র বিতরণ শেষে সেনাবাহিনী প্রধান মধুমতি নদীর উপর নির্মিতব্য রেল সেতু প্রজেক্ট ও মধুমতি আর্মি ক্যাম্প পরির্দশন করেন।
এসময় সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোর সঙ্গে রাজধানী ঢাকার রেল সড়ক সংযুক্তি বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম সংযুক্তি প্রকল্প।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ১৭২ কিলোমিটার রেল পথের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় নয়টি জেলা রাজধানী ঢাকার সাথে সরাসরি সংযুক্ত হবে। এই রেলপথ ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নড়াইল, যশোর এবং খুলনা জেলাকে রেলপথ নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত করবে।
প্রকল্পটি ২০১৮ সালে জুলাই মাসে শুরু হয় এবং ২০২৪ সালের জুলাইয়ের মধ্যে সমাপ্ত হবে। প্রকল্প সমাপ্তির পর জাতীয় অর্থনীতিতে আনুমানিক ১ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটবে বলে আশা করা যায়। সরকারের জি টু জি প্রকল্পের আওতায় চীনের এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়নে রেল মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্পে “চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি” ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কর্মরত রয়েছে।
প্রকল্পে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রকল্প সুপারভিশন এবং পরামর্শকের দায়িত্ব পালন করছে। প্রকল্পে ১৭২ কিমি রেলপথে মোট ৫৯ টি রেল সেতু, ১২৪ টি কালভার্ট ও ১৩২ টি আন্ডারপাসসহ মোট ২০ টি স্টেশন নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৪৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ।