ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা ভবনের সামনে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ঢাকা কলেজ ও ঢাবির জসিম উদদীন হলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতি, মারামারি ও ইট-পাটকেল ছোঁড়ার ঘটনায় ১৪ জন আহত হন। এদের মধ্যে অন্তত চারজন মাথায় আঘাত পেয়েছেন।
মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসা নেয়া চারজন মাথায় আঘাত পেয়েছেন। বাকিরা সামান্য আহত হয়েছেন।
এদের মধ্যে রয়েছেন জুবায়ের, মাহবুব, শিমুল, জহির, অপু, রোমান, গালিব, সালমান (এক), সালমান (দুই), আলামিন, আবু, সুমন, শিশির খান, নোমান। এদের মধ্যে অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
ঢামেক হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাক্তার মো. আলাউদ্দীন বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৪ জন রোগী আসছে। কয়েকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। এই ঘটনায় কোনো ভর্তি নেই।’
ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে সামনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে কলাভবনের সামনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, হাতাহাতি এবং পাথর ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে।
হাতাহাতি থামাতে ঘটনাস্থলে ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং লেখক ভট্টাচার্য এলে পাত্তা পাননি তারাও। তাদের উপস্থিতিতেই এক পক্ষ আরেক পক্ষকে উদ্দেশ করে পাথর ছোড়ে।
একপর্যায়ে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ছোড়া একটি পাথর লেখক ভট্টাচার্যের কপালে লাগে। পরে জসীম উদদীন হল ছাত্রলীগের নেতারা দুই হাত দিয়ে লেখকের মাথা রক্ষা করার চেষ্টা করেন। এরপর হেলমেট পরে নেন লেখক ভট্টাচার্য। পরে ছাত্রলীগ সভাপতি এবং লেখক ভট্টাচার্যের চেষ্টায় সংঘর্ষ থামে।
মঙ্গলবার বেলা ২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এসব ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে কবি জসীম উদদীন হল ছাত্রলীগের এক কর্মী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা হল থেকে মিছিল নিয়ে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আসি। নিয়ম অনুযায়ী ছাত্রলীগের সব ইউনিটের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ থাকার কথা। তাই আমরা ভিতরে ঢুকতে চাইলে ঢাকা কলেজের নেতা-কর্মীরা বাধা দেন। এরপর কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু হলে তারা আমাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল এবং বাঁশের কঞ্চি নিক্ষেপ করা শুরু করেন। নিজেদের রক্ষার্থে আমরাও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করি।’
এই কর্মী বলেন, ‘ঘটনা থামাতে মঞ্চ থেকে লেখক ভট্টাচার্য দাদা নেমে আমাদের বড় ভাইদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করলে আমরা শান্ত হয়ে যাই। এ সময় ঢাকা কলেজের নেতা-কর্মীরা ফের ইট এবং বাঁশের কঞ্চি নিক্ষেপ করা শুরু করলে একটা কঞ্চি লেখক দাদার কপালে লাগে। পরে তাকে হেলমেট পরিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর জয় (আল নাহিয়ান খান) ভাই এসে ঘটনা থামান।’