নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার মামলায় জামিন পাননি হেফাজতে ইসলামীর সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মামুনুল হক।
ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪ এর বিচারক ফাতিমা ইমরোজ ক্ষণিকার আদালতে মঙ্গলবার মামুনুলের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবা।
মামলাটির সাক্ষ্য নিতে মঙ্গলবার দিন ঠিক ছিল। কিন্তু এদিন কোনও সাক্ষীকে আদালতে উপস্থিত করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। এজন্য আদালত ১৩ মার্চ পরবর্তী তারিখ ঠিক করে দেন।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. দেলোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, 'সাক্ষ্য নিতে মঙ্গলবার দিন ধার্য ছিল। সাক্ষীদের আদালতে এসে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য নোটিশ জারি করা হয়েছে। কিন্তু কেউ উপস্থিত হননি। এজন্য পরবর্তী সাক্ষ্যর জন্য নতুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। একইসঙ্গে শুনানি নিলেও মামুনুল হকের জামিন দেননি বিচারক।'
এদিন দুপুরে মামুনুল হকসহ অন্য আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবী মামুনুলের জামিনের আবেদন করেন। এছাড়া আসামি জিয়ামুল, ইমাদুল হক, মাছরুরুল হক, সাইমা হক ও মাহমুদ দিলরুবার সঙ্গে দেখা করার জন্যও আবেদন করেন এই আইনজীবী।
আদালত শুনানি শেষে আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেসবাকে পুলিশের উপস্থিতিতে হাজতখানায় পাঁচ আসামির সঙ্গে ২০ মিনিটের জন্য কথা বলার অনুমতি দেন। তবে মামুনুলের জামিন আবেদনে সায় দেননি আদালত।
২০১৫ সালের ১৪ জানুয়ারি মিরপুর থানাধীন পীরেরবাগে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় মামুনুল হক, বিএনপি নেতা নাঈম চৌধুরী, ইউসুফ মিয়া, মাহাবুব আলমসহ আরও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নাম উল্লেখসহ ৪১ জনকে আসামি করে মামলা হয়।
পরে ৩১ মার্চ মামুনুলসহ ৬৫ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম। চার্জশিটভুক্ত ৪০ নম্বর আসামি মামুনুল।
আদালত ২০১৭ সালের ২৮ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।