নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকারের কাছে ডিজিএফআই পরিচয়ে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে চিত্ররঞ্জন দাস ওরফে সুমন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও দুজনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় জানানো হয়নি।
চিত্ররঞ্জন দাস কুমিল্লার হোমনা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত রন্ধন চন্দ্র দাস।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম সংবাদ সম্মেলন করে মঙ্গলবার দুপুরে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘চিত্ররঞ্জন দাস এক যুগ আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তখন তার নাম হয় সুমন মিয়া। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। প্রায় ৮ বছর তিনি নিজ এলকায় একটি সেলুনের কাজ করেন।
‘পরে ঢাকা গিয়ে সেখানে বিভিন্ন এলাকার গার্মেন্টস থেকে ঝুট কিনে বিক্রয় করেন। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের প্রতারণায় জড়িয়ে পড়েন।’
এসপি বলেন, ‘কোনো এক মাধ্যমে ফোন নম্বর সংগ্রহ করে ২২ নভেম্বর রাত আটটার দিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারকে ডিজিএফআই পরিচয়ে ফোন দিয়ে চাঁদা দাবি করেন সুমন।
‘তিনি বিকাশের মাধ্যমে তৈমূরের কাছে টাকা চান। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন মেয়র প্রার্থী। পরে আমরা তদন্ত করে সুমন মিয়কে আটক করি।’
তার বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম।