ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে সামনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসিম উদ্দীন হল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, হাতাহাতি এবং পাথর ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে।
হাতাহাতি থামাতে ঘটনাস্থলে ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং লেখক ভট্টাচার্য এলে পাত্তা পাননি তারাও। তাদের উপস্থিতিতেই এক পক্ষ আরেক পক্ষকে উদ্দেশ করে পাথর ছোড়ে।
একপর্যায়ে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ছোড়া একটি পাথর লেখক ভট্টাচার্যের কপালে লাগে। পরে জসিম উদ্দীন হল ছাত্রলীগের নেতারা দুই হাত দিয়ে লেখকের মাথা রক্ষা করার চেষ্টা করে। এরপর হেলমেট পরে নেন লেখক ভট্টাচার্য। পরে ছাত্রলীগ সভাপতি এবং লেখক ভট্টাচার্যের চেষ্টায় সংঘর্ষ থামে।
মঙ্গলবার বেলা ২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এসব ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সুত্রপাত সম্পর্কে কবি জসিম উদ্দীন হল ছাত্রলীগের এক কর্মী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা হল থেকে মিছিল নিয়ে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আসি। নিয়ম অনুযায়ী ছাত্রলীগের সব ইউনিটের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ থাকার কথা। তাই আমরা ভিতরে ঢুকতে চাইলে ঢাকা কলেজের নেতাকর্মীরা বাঁধা দেন। এরপর কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু হলে তারা আমাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেট এবং বাঁশের কঞ্চি নিক্ষেপ করা শুরু করেন। নিজেদের রক্ষার্থে আমরাও নিক্ষেপ করা শুরু করি।’
এই কর্মী বলেন, ‘ঘটনা থামাতে মঞ্চ থেকে লেখক ভট্টাচার্য দাদা নেমে আমাদের বড় ভাইদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করলে আমরা শান্ত হয়ে যাই। এসময় ঢাকা কলেজের নেতাকর্মীরা ফের ইট এবং বাঁশের কঞ্চি নিক্ষেপ করা শুরু করলে একটা কঞ্চি লেখক দাদার কপালে লাগে। পরে তাকে হেলমেট পরিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সরিযে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর জয় (আল নাহিয়ান খান) ভাই এসে ঘটনা থামান।’