দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হার আবার বেড়ে যাওয়ায় মানুষের চলাফেরায় আবার বিধিনিষেধ আরোপ করতে যাচ্ছে সরকার। বিষয়টি জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, সংক্রমণ বেড়ে গেলে আরোপ করা হতে পারে লকডাউনও।
সচিবালয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রোগী বেড়ে যাচ্ছে, যেভাবে বাড়ছে এটা আশঙ্কাজনক। এ নিয়ে কেবিনেটের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বেশ কিছু পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এগুলো এখনও ফাইনাল না।’
কেবিনেট থেকে কী কী প্রস্তাব এসেছে- এমন প্রশ্নে জাহিদ মালেক বলেন, ‘যানবাহনে মাস্ক ছাড়া চলাচল করা যাবে না, চললে জরিমানা দিতে হবে। যাত্রীর সংখ্যা অর্ধেক নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। রেস্টুরেন্টে মাস্ক পরে যেতে হবে। দোকানের সময়সীমা কমিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে; রাত ১০টার পরিবর্তে ৮টা করার কথা বলা হয়েছে।’
নির্দেশগুলো বাস্তবায়নে প্রস্তুতির জন্য সাত দিনের সময় দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, স্কুল বন্ধের পরিস্থিতি হয়নি। সংক্রমণ বেড়ে গেলে লকডাউনের চিন্তা আছে।
দেশে কিছুদিন ধরে করোনা শনাক্ত হার বাড়তির দিকে। সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় ৬৭৪ জনের দেহে করোনা শনাক্তের তথ্য পাওয়া গেছে, যা ৫ অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ।
এদিন শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ, ২ অক্টোবরের পর সবচেয়ে বেশি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহ নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে সে দেশের করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসছে বলে ধরা হয়। সে হিসাবে দেশে করোনা সংক্রমণ হার নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে।
তবে বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও বাড়ছে শনাক্তের হার। এর মধ্যে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনও দেশে শনাক্ত হয়েছে। এই ধরন অনেক বেশি সংক্রামক বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ওমিক্রন যাতে দ্রুতগতিতে ছড়াতে না পারে, সে জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে সরকার থেকে জানানো হয়েছে।