নৌ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত অভিযান-১০ লঞ্চের তিন মালিককে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর আবেদন করেছে নৌ অধিদপ্তর।
আসামি মো. হামজালাল শেখ, মো. শামীম আহমেদ ও মো. রাসেল আহম্মেদ ৫৪ ধারায় আটক হয়ে হাজতে থাকায় বিচারের জন্য তাদের ‘শ্যোন অ্যারেস্ট’ দেখিয়ে কারাগার থেকে আদালতে আনতে আবেদন করা হয়।
মঙ্গলবার অধিদপ্তরের পক্ষে প্রসিকিউটিং অফিসার বেল্লাল হোসাইন মতিঝিলের নৌ আদালতে আবেদন জমা দেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক জয়নব বেগম আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আগামী ১৯ জানুয়ারি আদালতে হাজির করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়, ‘এই আসামিদের আটক করে ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ৫৪ ধারায় কার্যক্রম শেষে হাজতে পাঠানো হওয়ায় নৌ আদালতের মামলায় তাদের শ্যোন এরেস্ট দেখানোর জন্য বিজ্ঞ আদালতে আবেদন করছি।’
শুনানিতে বেল্লাল হোসাইন বলেন, আসামিদের আটক করে হাজতে রাখা হয়েছে, তবে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।
তাই তাদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদেশ প্রার্থনা করছি। আবেদনের ফলে বিচারক জয়নাব বেগম পি.ডব্লিউ ইস্যু করে আদেশ দেন।
গত ২৬ ডিসেম্বর ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও নিহতের ঘটনায় লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার মামলায় এর আগে গ্রেপ্তার ড্রাইভারসহ দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ২ জানুয়ারি রাজধানীর মতিঝিলের নৌ আদালতের বিশেষ বিচারক (যুগ্ম জজ) জয়নব বেগম এদিন এই আদেশ দেন।
গত সপ্তাহে উক্ত লঞ্চের মাস্টারদ্বয় আত্মসমর্পণ করার পর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছিল। বর্তমানে তারা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।
পরোয়ানা জারি হওয়া অন্য আসামিরা হলেন ওই জাহাজের ইনচার্জ মাস্টার রিয়াজ সিকদার, ইনচার্জ ড্রাইভার মাসুম বিল্লাহ, সেকেন্ড মাস্টার খলিলুর রহমান, সেকেন্ড ড্রাইভার আবুল কালাম, শামীম আহাম্মেদ, রাসেল আহম্মেদ ও ফেরদৌস হাসান রাব্বি। দুজন চালক ও দুজন মাস্টার ছাড়া বাকিরা নৌযানটির মালিক।
এদিন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক শফিকুর রহমান বাদী হয়ে এই মামলা করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ নিরাপত্তা অধ্যাদেশ ১৯৭৬ (সংশোধিত ২০০৫)-এর ৫৬, ৬৬, ৬৯ ও ৭০ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এসব ধারায় আসামিদের সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।