বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্রেইল পদ্ধতি: আঙুলের স্পর্শে অক্ষরের অনুভব

  •    
  • ৪ জানুয়ারি, ২০২২ ০৮:৪৭

৪ জানুয়ারি পালিত হচ্ছে বিশ্ব ব্রেইল দিবস। দৃষ্টিহীন ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের পড়ালেখার বিশেষ পদ্ধতির আবিষ্কারক লুইস ব্রেইলের জন্মদিনে সারা বিশ্বে নানা আয়োজনে দিনটি উদযাপন করা হয়।

যাদের দৃষ্টিশক্তি নেই, তাদের লেখাপড়ার সুবিধার্থে তৈরি হয়েছে ব্রেইল পদ্ধতি। আর এই পদ্ধতির মূলে রয়েছে কাগজের ওপর ছয়টি বিন্দু। তাতে আঙুল রাখলেই দৃষ্টিহীনরা পান অক্ষরের অনুভব; খুলে যায় তাদের জ্ঞানের দুয়ার।

সারা বিশ্বের মতো ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব ব্রেইল দিবস। দৃষ্টিহীন ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের পড়ালেখার বিশেষ পদ্ধতির আবিষ্কারক লুইস ব্রেইলের জন্মদিনে সারা বিশ্বে নানা আয়োজনে দিনটি উদযাপন করা হয়।

দৃষ্টিহীনদের ব্রেইল শিক্ষা দিতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে দেশে। সেগুলোর একটি রাজধানীর মিরপুরের ‘দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়’।

এই বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবাসিক ও অনাবাসিক ব্যবস্থাপনায় দৃষ্টিহীনদের শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়ার ব্যবস্থা রয়েছে।

এটির প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি ও বেসরকারিভাবে অনেক জায়গাতেই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের পড়াশোনার সুযোগ আছে। দেশে মোট চারটি সরকারি প্রতিষ্ঠান আছে, যেখানে পড়াশোনা করতে পারে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা। এর মধ্যে ঢাকার মিরপুরে একটি; অন্যগুলো চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহীতে।’

সঠিক শিক্ষা পেলে এই দৃষ্টিহীন শিশুরাও দেশের সম্পদে পরিণত হতে পারে বলে মনে করেন এই শিক্ষক। তিনি জানালেন, প্রযুক্তি ব্যবহারেও পিছিয়ে নেই তারা। বিশেষ পদ্ধতিতে কম্পিউটার শেখানো হয় এখানকার শিক্ষার্থীদের।

দেশে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর সংখ্যা কত?

সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ-বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি) ও ন্যাশনাল আই কেয়ার (এনইসি) দেশের ৬৪ জেলার গ্রাম ও শহরে একটি জরিপ চালায়।

২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করে তৈরি করা হয় জাতীয় অন্ধত্ব জরিপ। এতে দেখা গেছে, দেশে এখন ৭ লাখ ৫০ হাজার মানুষ অন্ধ।

যেভাবে কাজ করে ব্রেইল পদ্ধতি

ব্রেইল পদ্ধতিতে একটি চতুর্ভুজ আকৃতির বক্স থাকে, যেখানে ছয়টি ক্ষুদ্র ছিদ্র থাকবে। তার বিন্যাস হবে ৩২। অর্থাৎ দুটি ভার্টিক্যাল ও তিনটি হরিজন্টাল সারি থাকবে৷

প্রতিটি চতুর্ভুজ একেকটি বর্ণ কিংবা সংখ্যা কিংবা চিহ্ন নির্দেশ করবে। প্রতিটি বর্ণ, সংখ্যা বা চিহ্নের জন্য ছয়টি ছিদ্রের আলাদা গঠন থাকে৷ এই ছয়টি খালি ছিদ্রের মাঝে উঁচু বা পূর্ণ যেগুলো থাকবে সেগুলোই হচ্ছে বর্ণমালা বা সংখ্যা চেনার নির্দেশক।

এ বিভাগের আরো খবর