বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভোটারদের হুমকির ভিডিওকে কারসাজি দাবি নৌকার প্রার্থীর

  •    
  • ৪ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০৫

গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী প্রচারণায় বক্তব্য দেন প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ। এমন একটি ভিডিও ক্লিপ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা যায়, তিনি তার সমর্থকদেরকে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কারা ভোট করছে, তাদের তালিকা করতে বলেছেন।

রাজশাহীর বানেশ্বর ইউনিয়ন ভোটারদেরকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠা আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ দাবি করেছেন, তার নামে বক্তব্যের যে ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে, সেটি কারসাজি করা।

সেই বক্তব্য ভাইরালের পর বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিবেদন তৈরি করলে নৌকার প্রার্থীকে কারণ দর্শাতে বলে নির্বাচন অফিস। সোমবার বিকেলে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে তিনি লিখিত জবাব দেন।

জবাব পেয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা আওয়ামী লীগ নেতার বক্তব্য পাঠিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে। তিনি কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, সেটি জানা যায়নি।

নোটিশে বলা হয়েছিল, ‘পুঠিয়ার বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের নৌকা প্রার্থীর আবুল কালাম আজাদ আপনি গত ৩১ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৮টার দিকে নির্বাচনি প্রচারণায় বক্তব্য প্রদান করেন যে, নৌকায় সিল না মারলে কাউকেই ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হবে না। কেউ নির্দেশ না মানলে তালিকা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

‘বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং দৈনিক পত্রিকায় আপনার উল্লিখিত বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। আপনার এই বক্তব্যের মাধ্যমে ভোটারদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হয়েছে এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েছে।

‘আপনার এই বক্তব্যটি নির্বাচনি আচরণ বিধিমালার সম্পূর্ণ পরিপন্থি। এমতাবস্থায় কেন আপনার বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা-২০১৬ এর বিধি-৩১ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না?’

চিঠি পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়।

এই নোটিশের জবাবে আবুল কালাম আজাদ লিখেন, ‘নির্বাচন আচরণ-বিধি লঙ্ঘনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা অসত্য ও ভিত্তিহীন। এ ধরনের কোনো বক্তব্য আমি কোথাও বলি নাই। আমার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী অথবা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ করার লক্ষ্যে এবং নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করার জন্যই অপচেষ্টায় মিডিয়ার সম্পূর্ণ কারসাজি।’

পুঠিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘নৌকার প্রার্থী সময় মতোই কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়েছেন। তবে তিনি ওই ভিডিওর বক্তব্য তার নয় বলে দাবি করেছেন। এখন এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।‘

এক প্রশ্নে তিনি বলেন, বিধিমালা-২০১৬ এর বিধি-৩১ অনুযায়ী ওই প্রার্থীর আর্থিক জরিমানাসহ ছয় মাস পর্যন্ত জেল হতে পারে। আর এটা ক্ষমতা রয়েছে ম্যাজিস্ট্রেটের।

এ বিষয়ে জানতে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছকে সোমবার সন্ধ্যার পর একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি মুঠোফোন ধরেননি।

গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী প্রচারণায় বক্তব্য দেন প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ। এমন একটি ভিডিও ক্লিপ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওতে শোনা যায়, তিনি বলছেন, ‘বিএনপি কিন্তু ভোট বর্জন করেছে। উনারা ভোট বর্জন করার পরে আওয়ামী লীগের সাথে চোট্টাপনা করার জন্যে অনেকজন অনেক কিছু সেজে বইসে আছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও আসলে তারা বিএনপির ঢাল। তাই আমি বলব, আপনারা খোঁজ রাখবেন, কার বাড়িতে এই স্বতন্ত্র প্রার্থী ঢুকছে তার তালিকা করবেন। আমি নির্বাচনের পরে তারই ব্যবস্থা নেবো।

‘আর যদি ওরা ভোট কেন্দ্রে যায় তবে, সোজা কথা ভোট নৌকায় সিল মাইরে দেখিয়ে দিবে। তাহলে ভোট দিতে দিবে। না হলে ভোটের মাঠেও ঢুকতে দিবে না। যদি তাও না পারেন, ওই ব্যক্তির তালিকা করবেন, আমি বানেশ্বরে তার ব্যবস্থা করব তার বাড়িতে এসে। এটা আমি বলে গেলাম।’

পঞ্চম ধাপে ৫ জানুয়ারি পুঠিয়ার বানেশ্বর ইউনিয়নে ভোট হবে। আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রাথী আবুল কালাম আজাদ ছাড়াও আনারস প্রতীক নিয়ে আছেন বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল রাজ্জাক ও হাতুড়ি প্রতীক নিয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মামুনুর রশিদ।

এ বিভাগের আরো খবর