বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চেয়ারম্যান পদে দেবর ভাবির লড়াই

  •    
  • ৩ জানুয়ারি, ২০২২ ২৩:৪৯

মান্নান মিয়া নামে একজন অটোরিকশাচালক বলেন, ‘গাড়িতে যাত্রী উঠলেও দেবর-ভাবির নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করে। চায়ের দোকানগুলোতেও আলোচনা তুঙ্গে। চায়ের চুমুকে কেউ বলে ভাবিই ভালো, আবার কেউ বলে দেবরই ভলো। জয়-পরাজয় যাই হোক ভোটের মাঠে দেবর-ভাবির লড়াইয়ে ভোটারদের মাঝে ব্যাপক উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে।’

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নে ভোটের লড়াইয়ে মাঠে নেমেছেন দেবর-ভাবি। এ নিয়ে উপজেলাজুড়ে চলতে নানান আলোচনা।

তারা হলেন দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার প্রয়াত চেয়ারম্যান দৌলত হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী ও হাতীভাঙ্গা ইউনিয়ন মহিলা লীগের সহসভাপতি মাহমুদা চৌধুরী (নৌকা প্রতীক) এবং ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম চৌধুরী (ঘোড়া প্রতীক)।

দেবর-ভাবি এমন লড়াইয়ে চা স্টল থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় চলছে আলোচনা।

এরই মধ্যে ইউনিয়ন জুড়ে পোস্টার, লিফলেটে ও ব্যানারে ভরে তুলেছেন তারা। ভোট চেয়ে দুজনই ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ঘুরে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।

শামসুল আলম নামে একজন ভোটার বলেন, ‘নৌকা ও ঘোড়া প্রতীকের দুইজন প্রার্থীই ভোট চাইতে ঘরে আইছে। মাথা আতায়্যা ভোট চাইছে। দুইজনই এক পরিবারের। এহন ভোটটা কারে দিয়্যাম সেই চিন্তা করতাছি।

‘দেবর-ভাবি এভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা ঠিক হইছে না। একজন প্রার্থী হইলে আমরাও নিশ্চিন্তে ভোট দিবার পারতাম। তবুও, আরও চিন্তা-ভাবনা করতাছি। জনমনে যে এগিয়ে আছে, তারেই ভোট দিবাম।’

মান্নান মিয়া নামে একজন অটোরিকশাচালক বলেন, ‘গাড়িতে যাত্রী উঠলেও দেবর-ভাবির নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করে। চায়ের দোকানগুলোতেও আলোচনা তুঙ্গে। চায়ের চুমুকে কেউ বলে ভাবিই ভালো, আবার কেউ বলে দেবরই ভলো। জয়-পরাজয় যাই হোক ভোটের মাঠে দেবর-ভাবির লড়াইয়ে ভোটারদের মাঝে ব্যাপক উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে।’

জানতে চাইলে নৌকা প্রতীকের মাহমুদা চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তাজুল ইসলামকে অনেকবার বুঝিয়ে বলেছি নির্বাচন না করার জন্য। তবুও সে প্রার্থী হয়েছে। নির্বাচনে দেবর-ভাবির সম্পর্কের কোনো স্থান নেই। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিক অব্যাহত রাখতেই নৌকায় ভোট দেবে জনগণ।’

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘জনগণের ইচ্ছাতে প্রার্থী হয়েছি। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাহলে আমার জয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।’

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুন্নাহার শেফা বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সবধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কোনো প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

পঞ্চম ধাপে আগামী ৫ জানুয়ারি উপজেলার ডাংধরা, চর আমখাওয়া, হাতীভাঙ্গা ও চুকাইবাড়ী ইউনিয়নে ভোট হবে।

এ বিভাগের আরো খবর