জালিয়াতি করে প্রায় ১২ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ওয়ান ব্যাংকের দুই কর্মকর্তার বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।
ঢাকার জেষ্ঠ্য বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।
কর্মকর্তারা হলেন- ওয়ান ব্যাংকের গুলশান-১ শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মোহাম্মদ এমরান হোসেন ও একই শাখার এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল আদিল।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম নিউজবাংলাকে জানান, ওয়ান ব্যাংকের দুই কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা সৈয়দ নজরুল ইসলাম। শুনানি শেষে আদালত আগামী ৬০ দিনের জন্য তাদের বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আদেশ দিয়েছে।
এদিকে অর্থ আত্মসাতের এ মামলায় ওয়ান ব্যাংক কর্মকর্তা এমরান হোসেন আগাম জামিন নিতে গেলে হাইকোর্ট আবেদন খারিজ করে তাকে পুলিশে হস্তান্তর করেছে। একই মামলায় এমরানের মা পেশোয়ারা বেগমসহ দুই নারী আসামিকে তিন সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অন্য আসামি হলেন রাকিবা জাহান।
ওয়ান ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল আদিলসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। গত ১৫ ডিসেম্বর এ বিষয়ে দুদক মামলা করে।
এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে চারটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও আসামিদের ব্যক্তিগত হিসাবে অবৈধ প্রক্রিয়ায় ১১ কোটি ৪০ লাখ টাকা স্থানান্তর ও উত্তোলনের মাধ্যমে তা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- ওয়ান ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল আদিল, গুলশান-১ শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার এমরান হোসেন, ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শফিউল আলম, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট বিমলেন্দু চৌধুরী, অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড রিলেশনশিপ ম্যানেজার মুনতাসির রহমান সিদ্দিকী, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আবু কালাম মোহাম্মদ সাখাওয়াৎ হোসেন ওরফে একেএম সাখাওয়াত হোসেন ও জুনিয়র অফিসার মো. শামিম। এছাড়া অর্থ আত্মসাতে সহায়তার অভিযোগে আজিজুর রহমান, রাকিবা জাহান, তানভীর হোসেন, পেশোয়ারা বেগম ও সুবু তারা হাওলাদার নামে পাঁচ গ্রাহককে আসামি করা হয়েছে।