বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নৌকার ‘বিরুদ্ধে’ ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি-সম্পাদক

  •    
  • ৩ জানুয়ারি, ২০২২ ২২:৪৮

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এম এ সম্পা মাহমুদ বলেন, ‘প্রথম দিক থেকেই নির্বাচনের প্রচারণার কথা বলে তারা প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা নিয়েও এখন নৌকার বিরোধিতা করেছেন। সোমবার বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন তারা। তাদের এমন কর্মকাণ্ড আমাকে হতাশ করেছে।’

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দল মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিপক্ষে মাঠে নামার অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়ার একটি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে।

কুষ্টিয়া সদরের হাটশ হরিপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটেছে।

এ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এম এ সম্পা মাহমুদ। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী আব্দুর রশিদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিলন মণ্ডল ও সাধারণ সম্পাদক আরিফ ফরাজী।

অভিযোগ, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে আব্দুর রশিদের নির্বাচনী সভায় যোগ দেন মিলন ও ফরাজী। আব্দুর রশিদ তার ফেসবুকে ছবিসহ এ বিষয়ে একটি পোস্ট দেন। এর পরই বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

নৌকা না পাওয়ার পরও স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় আব্দুর রশিদকে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়।

পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ৫ জানুয়ারি। এ ধাপে হাটশ হরিপুরসহ সদরের ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের ভোট হচ্ছে। মঙ্গলবার প্রচারণার শেষ দিন ছিল।

হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এম এ সম্পা মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। সেই প্রতীক নৌকা ডোবাতেই তৎপর হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিলন মন্ডল ও সাধারণ সম্পাদক আরিফ ফরাজী।

‘প্রথম দিক থেকেই নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার কথা বলে তারা প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা নিয়েও এখন নৌকার বিরোধিতা করেছেন। সোমবার বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন তারা। তাদের এমন কর্মকাণ্ড আমাকে হতাশ করেছে।’

অভিযোগের বিষয়ে হাটশহরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিলন মন্ডল বলেন, ‘কয়েকদিন হলো নৌকার প্রার্থীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘নেীকার পক্ষে আমি এখনো মাঠে কাজ করছি। সোমবার নির্বাচনী প্রচারণা চালাবার সময় রশিদ ভাইয়ের বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন তিনি ডেকে এক কাপ চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে শুধু এক কাপ চা খেয়েছি। এর বাইরে কিছু নেই।’

এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বলেন, ‘কেউ নৌকার বিরোধিতা করলে তিনি বহিষ্কার হবেনে, এটা নিশ্চিত।

এর আগে গত ২৫ ডিসেম্বর বটতৈল ইউনিয়নে নৌকার বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ওমর ফারুকের গোপন ভিডিও ফাঁস হলে হৈ চৈ পড়েছিল।

এ বিভাগের আরো খবর