মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাটের অঙ্ক ৫০ লাখ টাকা বা তার বেশি হলে তা পরিশোধ করতে হবে ইলেকট্রনিক বা ই-পেমেন্ট পদ্ধতিতে। রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে তা কার্যকর করেছে।
এ পদ্ধতি ব্যবহার করে ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে দ্রুততম সময়ে ভ্যাটের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে পারবে। এর ফলে ভ্যাটে আদায় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আসবে।
রাজস্ব বোর্ড বলেছে, জাল চালান প্রতিরোধ এবং রাজস্ব ফাঁকি বন্ধে এটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর আওতায় ভ্যাটের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমিয়ে আনা হবে।
২০২০ সালের জুলাই থেকে এনবিআর পরোক্ষ কর বা ভ্যাট ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেম চালু করে। আর ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে ২ লাখ টাকার বেশি শুল্ক পরিশোধের ক্ষেত্রে ই-পেমেন্ট বাধ্যতামূলক করা হয়।
আয়কর বিভাগেও ই-পেমেন্ট বাধ্যতামূলক করার প্রক্রিয়া চলছে।
এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ভ্যাট ব্যবস্থা অনলাইননির্ভর করার অংশ হিসেবে নতুন ভ্যাট আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী যে কোনো একক ট্রেজারি চালানের বিপরীতে ৫০ লাখ বা তার বেশি ভ্যাট ই-পেমেন্ট বা এ-চালানের (অটোমেটেড চালান) মাধ্যমে পরিশোধ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এর ফলে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের শুল্ককর পরিশোধে আর ব্যাংকে যেতে হবে না। ঘরে বসেই অনলাইনে পরিশোধ করা যাবে।