নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারকে বিএনপি তার পদ থেকে সরিয়ে দিলেও তিনি বিএনপিরই প্রার্থী বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
বন্দরনগরীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক বলেন, ‘সাপকে বিশ্বাস করা যায়, কিন্তু বিএনপিকে বিশ্বাস করা যায় না।’
নগরীর ২ নম্বর রেলগেইট এলাকায় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে নির্বাচন সমন্বয়ের দায়িত্ব থাকা নানক এসব কথা বলেন।
২০১১ সালে সিটির প্রথম নির্বাচনে তৈমূরকে সমর্থন দিয়েছিল বিএনপি। সে সময় আইভীর সঙ্গে শামীম ওসমানের লড়াইয়ে আলোচনাতেও ছিলেন না বিএনপি নেতা। তবে ভোটের আগে আগে দলের সিদ্ধান্তে তিনি সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন।
সিটির তৃতীয় নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা বিএনপি আগেই নিয়েছিল। তবে দলটির তিন জন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এদের মধ্যে একজন ছিলেন ২০১৬ সালের নির্বাচনে দলের প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান।
তবে তৈমূরের সমর্থনে বাকি দুই জন সরে যাওয়ার পর নারায়ণগঞ্জে স্বতন্ত্রের ব্যানারে বিএনপি-আওয়ামী লীগের লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে।
এর মধ্যে তৈমূরকে বিএনপি তার চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়কের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। তবে তার প্রচারে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সরে যাননি।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সবাই আইভীকে জেতাতে ঐক্যবদ্ধ বলে দাবি করেন নানক।
তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সবাই ঐক্যবদ্ধ আছে। সিটি নির্বাচনে দলীয় ভেদাভেদ ভুলে সাবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর পক্ষে কাজ করছেন।’
বন্দরনগরীকে আলোচিত নেতা শামীম ওসমান ও তার অনুসারীদের সঙ্গে আইভীর দীর্ঘদিনের বিভেদের বিষয়টি আবার আলোচনায় এসেছে আগামী ১৬ জানুয়ারির ভোটকে সামনে রেখে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।