দেশে গণতন্ত্র আরও বিকশিত করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বঙ্গভবনে সোমবার সন্ধ্যায় গণতন্ত্রী পার্টির সঙ্গে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে অনুষ্ঠিত সংলাপে তিনি এই আহ্বান জানান।
এদিন বঙ্গভবনের দরবার হলে অনুষ্ঠিত আলোচনায় গণতন্ত্রী পার্টির ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। নেতৃত্বে ছিলেন দলের সভাপতি ব্যারিস্টার আরশ আলী।
বঙ্গভবনে তাদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘রাজনীতিতে সহমত ও সৌহার্দ্যের সংস্কৃতি গড়ে তোলা অপরিহার্য।’
আলোচনায় অংশ নিয়ে নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নসহ আট দফা প্রস্তাব পেশ করে গণতন্ত্রী পার্টি। নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতা, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি এবং অ্যাটর্নি জেনারেলকে নিয়ে একটি সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠনেরও প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।
বঙ্গভবনে সোমবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রতিনিধিরা। ছবি: বঙ্গভবন
গণতন্ত্রী পার্টির সঙ্গে সংলাপের পর বঙ্গভবনে আসেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রতিনিধিরা। ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন দলের চেয়ারম্যান মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী।
রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, ‘সুস্থ রাজনীতির বিকাশে দল পরিচালনায় নীতি ও আদর্শের প্রতিফলন জরুরি। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনে ব্যক্তি ও রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
সংলাপে একটি শক্তিশালী, দক্ষ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে স্থায়ী আইন প্রণয়নসহ ৬ দফা পেশ করে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন।
নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাবও রেখেছে দলটি।
তারা বলেছেন, ধর্মবিদ্বেষী, চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ, কালো টাকার মালিক, অবৈধ সম্পদের অধিকারী, সন্ত্রাসী, সাজাপ্রাপ্ত অপরাধী ও ঋণখেলাপির সঙ্গে জড়িত ও তাদের পরিবারকে নির্বাচন কমিশনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।
নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোর ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব রাখার বাধ্যবাধকতাকে ঐচ্ছিক করার প্রস্তাব দেয় খেলাফত আন্দোলন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।