বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আলটিমেটাম

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৩ জানুয়ারি, ২০২২ ২০:৪১

চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মনোকুমার দেব বলেন, ‘২০১৬ সাল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সাতটি নোটিশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন ও সহযোগী সংস্থা। বাস্তবায়ন হয়নি একটিও। গত ১২ নভেম্বর এক মাসের মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়েছিল জেলা প্রশাসন, অথচ এখনও শুরু হয়নি।’

কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ১৫ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের নেতারা।

এ সময়ের মধ্যে কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হলে বিষয়টি তারা হাইকোর্টকে অবহিত করার ঘোষণা দিয়েছেন।

সোমবার সকালে কর্ণফুলী নদীতে নৌকায় সংবাদ সম্মেলনে তারা এ ঘোষণা দেন।

চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি চৌধুরী ফরিদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান।

সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মনোকুমার দেব সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন।

তিনি বলেন, ‘২০১৬ সাল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সাতটি নোটিশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন ও সহযোগী সংস্থা। বাস্তবায়ন হয়নি একটিও। গত ১২ নভেম্বর এক মাসের মধ্যে উচ্ছেদ অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়েছিল জেলা প্রশাসন, অথচ এখনও শুরু হয়নি।’

বক্তব্যে বলা হয়, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ২০১৪ সালে কর্ণফুলী তীর জরিপ করে ২ হাজার ১৮১ ব্যক্তিপ্রতিষ্ঠানকে কর্ণফুলী নদী দখলকারী হিসেবে চিহ্নিত করে হাইকোর্টকে অবহিত করে। জেলা প্রশাসন প্রতিবেদন দেয়ার পর মামলা চলাকালে বিএস ১ নম্বর খতিয়ানমূলে জাতীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে জমি লিজ দেয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

তিনি বলেন, লিজ গ্রহীতারা ২০১৬ সালে কর্ণফুলী নদী দখল ও ভরাট করে মাছ বাজার, বরফ কল নির্মাণ করতে যায়। এ সময় জাতীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে বিএস ১ নম্বর খতিয়ানের ১৪৭ দশমিক ১০ একর জায়গা কর্ণফুলী নদী হিসেবে চিহ্নিত করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন।

তখন মাছ বাজারকে বরাদ্দ করা ১ লাখ ৭৫ হাজার ২৬৩ বর্গফুট জায়গা নদীর অংশ উল্লেখ করে সেখানে উচ্ছেদ চালাতে বলা হয়। এ ছাড়া চাক্তাই ও রাজাখালী খালের মোহনা দখল করে মাছ বাজার নির্মাণ বন্ধের নোটিশ দেয় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।

সবশেষ ২০১৯ সালে ফিরিঙ্গিবাজার থেকে মেরিনার্স পার্ক নতুন মাছ বাজার, ভেড়া মার্কেট ও বাকলিয়ার চরের মোড় পর্যন্ত ৪৭ ব্যক্তিপ্রতিষ্ঠানের দখলে থাকা এক হাজারের বেশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নোটিশ দেয়া হয়। নোটিশ দেয়ার দুই বছর পরও উচ্ছেদ অভিযানে যায়নি জেলা প্রশাসন, যা হাইকোর্টের আদেশের লঙ্ঘন বলে জানান নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের নেতারা।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান জানান, হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট কর্ণফুলী নদীর দুই তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে রায় দেয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। সর্বোচ্চ আদালত ২০১৯ সালে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে। রায়ে ২ হাজার ১৮১টি অবৈধ স্থাপনা সরাতে ৯০ দিনের সময় দেয়া হয়।

জেলা প্রশাসন ২০১৯ সালের ৪ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে ২৩০টি স্থাপনা উচ্ছেদ এবং ১০ একর ভূমি উদ্ধার করে। এ অভিযানে মুক্ত হয় পাঁচটি খালের মুখ। বন্দর এলাকা থেকে শুরু করে বারিক বিল্ডিং মোড়-গোসাইলডাঙ্গা-সদরঘাট-মাঝির ঘাট-শাহ আমানত সেতু হয়ে মোহরা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার নদীর তীর দখলমুক্ত হয়। এরপর লালদিয়ার চর এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এ বিভাগের আরো খবর