বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১০ হাজার টাকার আবেদনে তিন শ টাকার শেয়ার

  •    
  • ৩ জানুয়ারি, ২০২২ ২০:০৮

সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৯ হাজার ৭০০ টাকা আর প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা ৯ হাজার ৭৯০ টাকা বিও নিজ নিজ বিও হিসাবে ফেরত পাবেন।

১০ হাজার টাকার আবেদনের বিপরীতে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের ৩০০ টাকার শেয়ার পেয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। অর্থাৎ ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সর্বোচ্চ ৩০টি শেয়ার পেয়েছেন তারা। আর প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা পেয়েছেন সর্বোচ্চ ২২টি শেয়ার।

সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৯ হাজার ৭০০ টাকা আর প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা ৯ হাজার ৭৯০ টাকা বিও নিজ নিজ বিও হিসাবে ফেরত পাবেন।

সোমবার ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের আইপিও লটারির ফলাফল ডিএসই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। সেখানে সর্বমোট ৪ লাখ ৬১ হাজার ৯৭৪টি বিও হিসাবে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত আর্থিক বছরের নিরীক্ষিত হিসাব অনুযায়ী, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দেখানো হয়েছে ৯৩ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) ১৬ টাকা ০২ পয়সা।

কোম্পানিটির আইপিও আবেদনের ১৫ শতাংশ কর্মীদের মধ্যে বণ্টনের নির্দেশ দেয়া আছে, যা দুই বছর লক-ইন থাকবে। গত বছরের ২৩ জুন কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়। ১৪ ডিসেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণ করা হয়।

ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ১ কোটি ৯৩ লাখ ৬০ হাজার ৯০৪টি শেয়ার ছেড়ে মোট ১৯ কোটি ৩৬ লাখ ৯ হাজার ৪০ টাকা সংগ্রহ করবে।

পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করা টাকায় ফিক্সড ডিপোজিট, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ, ফ্লোর কিনবে কোম্পানিটি। এ টাকা থেকেই মেটানো হবে আইপিওর ব্যয়ও।

২০০০ সালের ২৪ আগস্ট থেকে দেশে বিমা ব্যবসার শুরু করে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স। নিয়ম অনুযায়ী বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর তিন বছরের মধ্যে বিমা কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আসতে হয়, না আসলে প্রতিদিনের দেরির জন্য গুনতে হয় জরিমানা।

তবে এতে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের সময় লেগেছে ২০ বছর। বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (ইডরা) কাছে সময় চেয়ে সময়ক্ষেপণ করেছে কোম্পানিটি।

২০১৯ সালের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স এই সময়ে মোট প্রিমিয়াম আয় করেছে ৪৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। ২০১৮ সালে যেটি ৩৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ছিল।

এই আইপিওতে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কোনো কোটা ছিল না। আগে আইপিওতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর আগে কোটা ছিল ৫০ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ছিল ৩০ শতাংশ। ক্ষতিগ্রস্তরা পেতেন ১০ শতাংশ আর প্রবাসীদের জন্য ছিল ১০ শতাংশ।

ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কোটা বাতিলের পর এখন থেকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কোটা ২০ শতাংশ। ৭০ শতাংশ পাবেন ব্যক্তিশ্রেণি ও প্রবাসীরা। আর ১০ শতাংশ মিউচ্যুয়াল ফান্ড। তবে বুকবিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের কোনো কোটা থাকছে না।

এ বিভাগের আরো খবর