ঢাকার সাভারে প্রায় ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে ভেসে এসেছে দুটি মৃত শুশুক। সবশেষ সোমবার বেলা ১টার দিকে তুরাগের আশুলিয়া ফেলাঘাট এলাকায় স্থানীয়রা মৃত শুশুকটি দেখতে পান।
এর আগে আশুলিয়া বাজারঘাট এলাকা থেকে রোববার সন্ধ্যায় উদ্ধার করা হয় ভেসে আসা মৃত একটি শুশুক। স্থানীয়রা জানান, সেটির ওজন প্রায় তিন মণ। আর সোমবার উদ্ধার হওয়া মৃত শুশুকটির ওজন পাঁচ মণ।
স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুস সাত্তার দুটি শুশুক উদ্ধারের সময়ই ঘটনাস্থলে ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আজ দুপুরে তুরাগ নদে আশুলিয়ার ফেলাঘাট এলাকায় মৃত শুশুকটি ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে আমি জেলেদের সহায়তায় শুশুকটি তীরে উঠিয়ে আনি।’
তিনি জানান, রোববার বিকেলে বাজারঘাট এলাকার জেলেরা মাছ ধরার সময় মৃত শুশুকটি দেখে তুলে নিয়ে আসেন। তিনি সেখানে ছিলেন।
ওই মাছটির মুখে রক্তের ছোপ ছিল বলে জানান সাত্তার। রাত ১২টার দিকে একটি মাইক্রোবাসে আসা কয়েকজন ব্যক্তি শুশুকটি নিয়ে যায় বলেও জানান তিনি।
সাভার উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটি হলো গ্যাংগিজ ডলফিন বা বাংলায় বলে গাঙ্গের শুশুক। পদ্মা ও যমুনা নদীতে এর অভয়াশ্রম ছিল একসময়। তবে এই অঞ্চলে গত ১০-১৫ বছরের মধ্যে এ রকমের শুশুক দেখা যায়নি বা শোনা যায়নি। বুড়িগঙ্গায় একসময় দেখা যেত। হয়তো কোনোভাবে এটি বুড়িগঙ্গায় এসেছিল।’
সেটি কারা নিয়ে গেছে জানা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গতকাল রাতে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কে বা কারা মাইক্রোবাসে শুশুকটি নিয়ে গেছে বলে জানতে পেরেছি। সেটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের একজন গবেষকের মাধ্যমে গবেষণার জন্য পাঠানোর কথা ছিল।
‘তবে আজকের (সোমবার) পাওয়া শুশুকটি আমাদের নজরদারিতে আছে। আমরা ওই গবেষকের কাছে শুশুকটি পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। আমরা নির্বাচনি কাজে ব্যস্ত থাকায় ওখানে যেতে পারছি না। তবে জাবির ওই গবেষক ওখানে যাবেন। তার মাধ্যমেই কেন মৃত শুশুক তুরাগে ভেসে উঠছে, সেই কারণ জানার চেষ্টা করছি। বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছি আমরা।’