অর্থ আত্মসাতের মামলায় ওয়ান ব্যাংক কর্মকর্তা এমরান হোসেনের আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে তাকে পুলিশে দিয়েছে হাইকোর্ট।
সোমবার আদালতের নির্দেশের পর শাহবাগ থানার পুলিশ তাকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে নিয়ে যায়। এমরান ব্যাংকটির গুলশান-১ শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার।
পৃথক আবেদনে একই মামলার দুই নারী আসামিকে তিন সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তারা হলেন রাকিবা জাহান ও পেশোয়ারা বেগম। আসামি পেশোয়ারা বেগম গ্রেপ্তার করা আসামি এমরানের মা।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে এমরান হোসেন ও পেশোয়ারার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল ও মাহফুজ বিন ইউসুফ। আসামি রাকিবা জাহানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. কামরুল ইসলাম।
দুদকের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী আশরাফ উদ্দিন ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
আইনজীবী মাহফুজ বিন ইউসুফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলাম। আদালত শুনানি নিয়ে এমরানের জামিন আবেদন খারিজ করে দেয়।’
ওয়ান ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল আদিলসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। গত ১৫ ডিসেম্বর এ বিষয়ে দুদক মামলা করে।
এজাহারে আসামিদের বিরুদ্ধে চারটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও আসামিদের ব্যক্তিগত হিসাবে অবৈধ প্রক্রিয়ায় ১১ কোটি ৪০ লাখ টাকা স্থানান্তর ও উত্তোলনের মাধ্যমে তা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলায় আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ওয়ান ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল আদিল, গুলশান-১ শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার এমরান হোসেন, ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শফিউল আলম, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট বিমলেন্দু চৌধুরী, অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড রিলেশনশিপ ম্যানেজার মুনতাসির রহমান সিদ্দিকী, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আবু কালাম মোহাম্মদ সাখাওয়াৎ হোসেন ওরফে এ কে এম সাখাওয়াত হোসেন ও জুনিয়র অফিসার মো. শামিম। এ ছাড়া অর্থ আত্মসাতে সহায়তার জন্য আজিজুর রহমান, রাকিবা জাহান, তানভীর হোসেন, পেশোয়ারা বেগম ও সুবু তারা হাওলাদার নামে গ্রাহকদের আসামি করা হয়েছে।