লিজের শর্ত ভঙ্গ হবে এমন অভিযোগে এনে সেগুনবাগিচার পাঞ্জেরিয়া দরবার শরিফের জায়গায় পীর ইয়াহিয়া হাসানের মরদেহ দাফন না করতে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সোমবার রিট করেন আরেক পির সৈয়দ মো. ইয়ামিনুল হাসান চিশতী। রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. আতিকুর রহমান।
রিটে ভূমি সচিব, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকার জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ওসি রমনাকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটে জেলা প্রশাসকের কাছে দেয়া দরখাস্ত নিষ্পত্তির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে লিজকৃত জায়গার ওপর স্থিতাবস্থা চাওয়া হয়েছে।
আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. আতিকুর রহমান জানান, বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।
ঘটনা তুলে ধরে আতিকুর রহমান জানান, ২০১৭ সালে দিল্লির খাজা নিজাম উদ্দিন আউলিয়া দরবার শরিফ থেকে খেলাফতপ্রাপ্ত হয়ে পিরজাদা সৈয়দ মো. ইয়ামিনুল হাসান চিশতী পাঞ্জেরিয়া দরবার শরিফের গদিনসীন হয়ে পিরের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেই থেকে পিরজাদা সৈয়দ মো. ইয়ামিনুল হাসান চিশতী পির হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
পাঞ্জেরিয়া দরবার শরিফের সেগুনবাগিচার জায়গাটি ১৯৭৯ সালে ঢাকা জেলা প্রশাসক পিরের অনুকুলে লিজ দেন। লিজের অন্যতম শর্ত ছিল, এই জায়গা শুধু ধর্মীয় উপাসনার কাজে ব্যবহার করা যাবে।
এরই মধ্যে গত ২৪ ডিসেম্বর ইয়ামিনুল হাসান চিশতীর আপন চাচা দিল্লি থেকে খেলাফতপ্রাপ্ত সৈয়দ ইয়াহিয়া হাসান মারা যান। তখন জায়গার লিজ নেয়ার শর্ত ভঙ্গ করে ইয়াহিয়া হাসানের মরদেহ দরবার শরিফে দাফন করতে তার অনুসারীরা ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন।
ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) উভয় পক্ষকে ডেকে ইয়াহিয়া হাসানের মরদেহ দরবার শরিফের জায়গায় দ্রুত দাফন করতে বলেন। এ সময় পিরজাদা সৈয়দ মো. ইয়ামিনুল হাসান চিশতী তাকে বলেন, এই জায়গায় দাফন করলে লিজের শর্ত ভঙ্গ হবে। এখানে দাফন করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, এরপরও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ওই জায়গায় দাফন করতে চাপ প্রয়োগ করলে ৩০ ডিসেম্বর পির ইয়ামিনুল হাসান ঢাকা জেলা প্রশাসকের কাছে এটির বিরুদ্ধে আবেদন করেন। জেলা প্রশাসক সেই আবেদন নিষ্পত্তি না করায় পির ইয়ামিনুল হাসান হাইকোর্টে রিট করেন।
প্রয়াত পির ইয়াহিয়া হাসান জীবিত পির ইয়ামিনুল হাসান চিশতীর চাচা। মারা যাওয়ার ১০ দিনেও তার মরদেহ দাফন করা হয়নি।