দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা যাচাই করতে চলতি বছরই বাংলাদেশ সফরে আসছে ইন্দোনেশিয়ার উচ্চপর্যায়ের বাণিজ্য প্রতিনিধি দল।
সফরে দুই দেশের মধ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) স্বাক্ষরসহ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উন্নয়নের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হবে।
ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মতবিনিময়ের সময় এসব তথ্য জানান।রাজধানীর মতিঝিলের এফবিসিসিআই কার্যালয়ে সোমবার এই মতবিনিময় হয়।
বৈঠকে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী, পরিচালক এম জি আর নাসির মজুমদার ও মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক উপস্থিত ছিলেন।আলোচনায় গুরুত্ব পায় ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উন্নয়নের নানা দিক। রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বাংলাদেশ ইন্দোনেশিয়ার খাতভিত্তিক সংলাপে অংশীদার হতে পারে। দেশটিতে শুল্ক ও কর কাঠামো তুলনামূলক সহজ হওয়ায় বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের পক্ষে বাজার ধরা সহজ হবে। অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়ান উদ্যোক্তারাও বাংলাদেশে ওষুধ ও এসএমই খাতে জয়েন্ট ভেঞ্চারের মাধ্যমে বিনিয়োগে আগ্রহী।
তিনি জানান, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা যাচাই করতে চলতি বছরই দেশটির শিল্প বা বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে আসবে। সফরে পিটিএ ছাড়াও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের সম্ভাবনার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী ইন্দোনেশিয়ান সরকার ও উদ্যোক্তারা।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে ইন্দোনেশিয়া-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি হয়েছে ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। এই বাণিজ্যকে আরও বাড়ানোর বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের ওষুধ, কৃষিপণ্য, পোলট্রি, পাট ও চামড়াজাত পণ্য এবং জুতার বিশাল বাজার রয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়।তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সরকারকেই উদ্যোগী হতে হবে। একইভাবে চীন, ভারত, জাপানের মতো ইন্দোনেশিয়াও যেন বাংলাদেশের যেকোনো একটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে এগিয়ে আসে, সে জন্য রাষ্ট্রদূতকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।