বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমান সম্পর্কে অশ্লীল বক্তব্যের অভিযোগে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ও উপস্থাপক মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদের বিরুদ্ধে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে করা মামলার আবেদন আবারও খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত মামলা গ্রহণ করার উপাদান না থাকায় খারিজের এ আদেশ দেয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আবু ইউসুফ সরকার বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমরা এ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব। উচ্চ আদালত আমাদের ন্যায়বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত করবে না। উচ্চ আদালতের আদেশ নিয়ে আমরা আবার ফিরে আসব।’
এর আগে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ সাইদুর রহমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করেন।
মামলার আবেদনে বলা হয়, ‘তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমান লিংকন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ব্যারিস্টার- অ্যাট-ল’ ডিগ্রি লাভ করেছেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে আইন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। জাইমা রহমানের দাদা মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দাদু তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।’
মামলায় বলা হয়, ‘ডা. মুরাদ হাসান বর্তমান সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ছিলেন এবং নাহিদ একজন মিডিয়া উপস্থাপক। গত ১ ডিসেম্বর উপস্থাপক নাহিদ ডা. মুরাদ হাসানের স্বাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন, যা পরবর্তী সময়ে ডা. মুরাদ হাসান তার ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে প্রচার ও প্রকাশ করেন।
‘গত ১ ডিসেম্বর সাক্ষাৎকারে ডা. মুরাদ হাসান উদ্দেশ্যমূলকভাবে জিয়া পরিবার এবং ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ, নারীবিদ্বেষী এবং যেকোনো নারীর জন্য মর্যাদাহানিকর ভাষা ব্যবহার করেন। জাইমা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ ও প্রচারের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা, বিদ্বেষ ও মানহানিকর বক্তব্যের মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর ২৫/২৯/৩১/৩৫ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন,’ এমনটি বলা হয় মামলায়।
মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়।
এর আগে ১২ ডিসেম্বর একই আদালতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা ওমর ফারুক ফারুকীও মামলার আবেদন করেছিলেন। পরদিন আদালত তা খারিজ করে দেয়।