বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১৪ বছর আগের হত্যা: ফাঁসির ৮ আসামি খালাস

  •    
  • ৩ জানুয়ারি, ২০২২ ১৮:১৮

১২ আসামির মধ্যে তিনজনকে ফাঁসি ও একজনকে ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। যে তিন আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখা হয়েছে, তারা হলেন কামরুল হাসান সোহাগ, রাশেদ ড্রাইভার ও কামাল হোসেন।

১৪ বছর আগে নোয়াখালীতে মোবাইল ব্যবসায়ী ও কর্মচারী হত্যায় বিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া ১২ জনের মধ্যে ৮ জনকে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট।

বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের আংশিক গ্রহণ করে বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ রায় দেয়।

খালাসপ্রাপ্ত আট আসামি হলেন মোফাজ্জেল হোসেন জাবেদ, জাফর হোসেন মনু, আলী আকবর সুমন, সামছুদ্দিন ভুট্টো, সাহাব উদ্দিন, নাসির উদ্দিন, তোফাজ্জল হোসেন জুয়েল ও আবু ইউসুফ সুমন।

১২ আসামির মধ্যে তিনজনকে ফাঁসি ও একজনকে ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

যে তিন আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখা হয়েছে, তারা হলেন কামরুল হাসান সোহাগ, রাশেদ ড্রাইভার ও কামাল হোসেন। আর আবদুস সবুরকে দেয়া হয়েছে ১০ বছরের কারাদণ্ড।

আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা, আজাহার উল্লাহ ভূঁইয়া, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও মোহাদ্দেসুল ইসলাম টুটুল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন শাহীন আহমেদ খান। অন্যদিকে রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী ছিলেন সাধন কুমার বণিক।

আইনজীবী আজাহার উল্লাহ ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ রায় ঘোষণার সময় মহামান্য হাইকোর্ট উষ্মা প্রকাশ করেছেন। আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছেন, আইন ও সাক্ষ্যপ্রমাণ যথাযথভাবে বিবেচনায় না নিয়ে বিচারিক আদালত খেয়ালিভাবে এ রায় দিয়েছেন, যেটা উচিত হয়নি। আরও সাবধানতার সাথে সাক্ষ্য-প্রমাণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এবং আইনকে যথাযথভাবে বিবেচনায় রেখে এ ধরনের হত্যা মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্য উচ্চ আদালত তাগিদ দিয়েছেন।’

স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই উচ্চ আদালত তিন আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছে বলে জানান এই আইনজীবী।

তিনি বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখা তিন আসামিই পলাতক। তাদের বিচারিক আদালতে দ্রুত আত্মসমর্পণ অথবা গ্রেপ্তার করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

২০০৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাতে নোয়াখালীর মাইজদী শহরের ‘মোবাইল ফেয়ার’-এর মালিক ফিরোজ কবির মিরণ ও তার দোকানের কর্মচারী সুমন পাল ১৩ লাখ টাকা ও কিছু মোবাইল ফোন সেট নিয়ে রিকশায় বাড়ি ফিরছিলেন। পথে নাপিতের পুল এলাকায় সন্ত্রাসীরা তাদের দুজনকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। পরে টাকা ও মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে তাদের কুপিয়ে খুন করে মরদেহ সড়কের পাশে ফেলে যায়।

এ ঘটনার পরদিন নিহত মিরনের বাবা এবি সিদ্দিক বাবুল মিয়া বাদী হয়ে ২৩ জনকে আসামি করে সুধারাম মডেল থানায় মামলা করেন।

ঘটনার নয় বছর পর ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এ এন এম মোরশেদ খান ১২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেয়। বাকি ১০ আসামিকে খালাস দেয় আদালত।

নিয়ম অনুযায়ী বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের আবেদন করা হয় হাইকোর্টে, যা ডেথ রেফারেন্স নামে পরিচিত।

এদিকে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল ও জেল আপিল করে দণ্ডিত ৭ আসামি। সেই ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিলের শুনানি করে রায় দেয় হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।

এ বিভাগের আরো খবর