বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আগাম জামিন নিতে এসে কারাগারে ‘ভুয়া ডাক্তার’

  •    
  • ৩ জানুয়ারি, ২০২২ ১৩:৫০

দুদকের আইনজীবী আব্দুস সালাম জানান, আসামিরা জানিয়েছিলেন চীনের তাঈশান মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস সনদ নিয়েছেন তারা। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চীনের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায় তাদের সনদ জাল।

ডাক্তারি সনদের প্রতারণার দুদকের মামলায় আগাম জামিন না দিয়ে চিকিৎসক পরিচয়ধারী এক আসামিকে জেলে পাঠিয়েছে হাইকোর্ট। বাকি ১৩ আসামিকে গ্রেপ্তারে দুদক, আইজিপি ও র‍্যাবকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। পরে আসামিকে শাহবাগ থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এবিএম বায়েজীদ; আসামির পক্ষে ছিলেন শাহিনুর আলম।

শাহিনুর আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ মামলায় আমার মক্কেল মাহমুদুল হাসান চার নম্বর আসামি। আমরা আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলাম। আদালত শুনানি নিয়ে আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে তাকে জেলে পাঠাতে শাহবাগ থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভুয়া সনদ সংগ্রহ করে চিকিৎসক হিসেবে প্র্যাকটিস করছেন। আদালতে আমরা বলেছি, এমন কোনো সনদ আমরা নেয়নি, এমনকি এটা আমরা ব্যবহারও করেনি। তারপরও আদালত শুনানি নিয়ে আবেদন খারিজ করে দেন।’

মামলা থেকে জানা যায়, চীনের একটি মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ভুয়া সনদে ১২ জনকে এমবিবিএস চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন দেয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর বুধবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ কমিশনের উপ-পরিচালক সেলিনা আখতার মনি বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলায় বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার মো. জাহিদুল হক বসুনিয়া এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন ছাড়াও চিকিৎসক নিবন্ধন পাওয়া ওই ১২ জনকে আসামি করা হয়।

এই ১২ আসামি হলেন কুমিল্লার বড়ুরার মো. ইমান আলী ও মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ, সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সুদেব সেন, টাঙ্গাইলের কালিহাতীর তন্ময় আহমেদ, ভোলার দৌলতখানের মো. মাহমুদুল হাসান, চাঁদপুরের মতলবের মো. মোক্তার হোসাইন, ঢাকার সাভারের মো. আসাদ উল্লাহ, গাজীপুরের কালিয়াকৈরের মো. কাউসার, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের রহমত আলী, বাগেরহাট সদরের শেখ আতিয়ার রহমান, ফেনীর দাগনভুঁইয়ার মো. সাইফুল ইসলাম এবং সিরাজগঞ্জ সদরের মো. আসলাম হোসেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণা, জালজালিয়াতি ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুয়া এমবিবিএস সনদ ব্যবহারের মাধ্যমে এমবিবিএস ডাক্তার হিসেবে রেজিস্ট্রেশন সনদ গ্রহণ করেছেন।

চীনের তাইশান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিবিএস পাশ করেছেন বলে মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলে সদন জমা দেন এই ১২ বাংলাদেশি।

দুদকের আইনজীবী আব্দুস সালাম জানান, আসামিরা জানিয়েছিলেন চীনের তাঈশান মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস সনদ নিয়েছেন তারা। পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চীনের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায় তাদের সনদ জাল।

এ বিভাগের আরো খবর