উত্তরাঞ্চলের পর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় শীতের প্রকোপ বেড়েছে। পাশাপাশি শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। দেশের কিছু কিছু জায়গায় তাপমাত্রা কমে এসেছে। রাজধানী ঢাকায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে।
আগামী এক-দুই দিনের মধ্যে শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে বৃষ্টি শুরুর আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
চলতি জানুয়ারি মাসেই দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে একটি তীব্র হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানায় রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি। এ সময়ে তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
রোববার সকাল থেকে ঢাকায় উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
সারাদেশে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি দেশজুড়ে এক থেকে দুই দিন অব্যাহত থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে রোববার এসব তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রোববার ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে, ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়া অপরিবর্তিত থাকবে।
‘দেশের কিছু কিছু জায়গায় তাপমাত্রা কমে এসেছে। তবে রাতে কমার আশঙ্কা কম। এক-দুই দিন এভাবেই চলবে। এরপর বৃষ্টি ও শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। জানুয়ারির ৪ অথবা ৫ তারিখের দিকে বৃষ্টি ও শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে। এই শৈত্যপ্রবাহ দুই-তিন দিন স্থায়ী হবে।’
এই আবহাওয়াবিদ জানান, উপমহাদেশীয় উচ্চ চাপবলয়ের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশ পর্যন্ত এলে শীত জেঁকে বসতে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর থেকে আসা স্বাভাবিক লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থান করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, রোববার সকাল থেকে ঢাকায় উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। এদিন সকালে ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।
রোববার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকার ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রে বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়।এতে বলা হয়েছে, জানুয়ারিতে দেশে দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে একটি হবে তীব্র মাত্রার। এ সময় তাপমাত্রা ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।