বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের রেকর্ড

  •    
  • ২ জানুয়ারি, ২০২২ ২২:২৬

চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিশ্ববাসীর কাছে চট্টগ্রাম বন্দর ঈর্ষণীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। কারণ সারা বিশ্বে করোনা মহামারিতে বন্দরগুলো বন্ধ রাখা এবং কার্যক্রম সংকুচিত করা হয়েছিল। এ সময়ে চট্টগ্রাম বন্দর এক দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়নি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বন্দর কর্মকর্তারা কাজ করেছেন। একই সঙ্গে এই অর্জনের পেছনে সমানভাবে অবদান ছিল বন্দর ব্যবহারকারীদের।’

পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে নতুন ইতিহাস গড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। ১৯৭৭ সাল থেকে কনটেইনার হ্যান্ডলিং শুরুর পর ২০২১ সালে এসে সর্বোচ্চ সংখ্যক কনটেইনার হ্যান্ডলিয়ের রেকর্ড গড়েছে দেশের অর্থনীতির স্বর্ণদ্বারখ্যাত এই বন্দর।

৪৫ বছরের মধ্যে ২০২১ সালে এই বন্দরে মোট কনটেইনার হ্যান্ডলিয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩২ লাখ ১৪ হাজার ৫৪৮ টিইইউস। এর আগে একক কোন বছরে এতো বিপুল সংখ্যক কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের রেকর্ড নেই চট্টগ্রাম বন্দরে।

২০২০ সালে চট্টগ্রাম বন্দর কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছিল ২৮ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭৭ টিইইউস। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৫৭১ টিইইউস বেশি কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে। বছর শেষে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। শুধু কনটেইনারেই নয়, কার্গো ও জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণও ২০২১ সালেই সর্বোচ্চ। এ বছর কার্গো হ্যান্ডলিং হয় ১১ কোটি ৬৬ লাখ ১৯ হাজার ১৫৮ টন।

এর আগে ২০২০ সালে এর পরিমাণ ছিল ১০ কোটি ৩২ লাখ ৯ হাজার ৭২৪ টন। প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ১২ দশমিক ৯৯ শতাংশ। অন্যদিকে ২০২০ সালে ৩ হাজার ৭২৮টি জাহাজ হ্যান্ডলিং করলেও ২০২১ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ হাজার ২০৯টিতে। ফলে জাহাজ হ্যান্ডলিয়েও প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২.৯০ শতাংশে।

স্টেকহোল্ডারদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও বন্দরের সাহসী পদক্ষেপের কারণে এই নতুন অর্জন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান।

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববাসীর কাছে চট্টগ্রাম বন্দর ঈর্ষণীয় পর্যয়ে চলে যাচ্ছে। কারণ সারা বিশ্বে করোনা মহামরিতে বন্দরগুলো বন্ধ রাখা এবং তাদের কার্যক্রম সংকুচিত করা হয়েছিল। এ সময়ে চট্টগ্রাম বন্দর চলেছে এর নিজস্ব গতিতে। চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও লকডাউনে বন্দর একদিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়নি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বন্দর কর্মকর্তারা কাজ করেছেন। একই সাথে এই অর্জনের পেছনে সমানভাবে অবদান ছিল বন্দর ব্যবহারকারীদের। তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের কারণে বন্দর আজ এতদূর এগিয়েছে।’

বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ‘বন্দরে গেন্ট্রি ক্রেন বেড়েছে। ইয়ার্ডের স্পেস বেড়েছে। ইক্যুইপমেন্ট বাড়ানো হয়েছে। এতে প্রডাক্টিভিটি বহুগুণ বেড়ে গেছে। ভবিষ্যতে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল চালু হলে বন্দরের সক্ষমতা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। তখন প্রবৃদ্ধির হার আরও বাড়বে।’

এদিকে বন্দরের প্রবৃদ্ধিকে স্বাগত জানিয়ে চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ কমে আসার পর দেশের অর্থনীতি দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার কারণে চট্টগ্রাম বন্দর নতুন এই রেকর্ড গড়েছে। এখন এই ধারা অব্যাহত রাখতে এবং প্রবৃদ্ধি আরও বাড়াতে হলে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা পরিচালনায় সহযোগী হয়ে সব সেবা সংস্থাকে কাজ করতে হবে।’

বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের ৩ হাজার ৮৭০ কোটি ডলার রপ্তানি বাণিজ্যের ৮৪ শতাংশই তৈরি পোশাক খাতের। বিদেশি অর্ডার বাড়ায় তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য শিল্প খাতের কাঁচামালের আমদানি অনেক বেড়ে গেছে। সার্বিকভাবে উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে বন্দরের এমন প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে।’

বন্দর সূত্র জানায়, ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিয়ের পরিমাণ ৩০ লাখ টিইইউস ছাড়ায়। করোনা মহামারির কারণে বিশ্বের অনেক বন্দর কাজ কমিয়ে দেয়া, আবার অনেক বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রাখার প্রভাব পড়েছিল চট্টগ্রাম বন্দরেও। ওই সময় কনটেইনার হ্যান্ডলিং কমে যাওয়ায় লয়েডস লিস্টে বিশ্বের ১০০ ব্যস্ততম বন্দরের তালিকায় ৯ ধাপ পিছিয়ে ৬৭ স্থানে চলে যায় চট্টগ্রাম বন্দর।

এ বিভাগের আরো খবর