বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নর্থ-সাউথে অনিয়ম: রেহেনা ও বেনজীরকে দুদকে তলব

  •    
  • ২ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:৪৭

জানা গেছে, অর্থ আত্মসাৎ, অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুই ট্রাস্টি আজিম উদ্দিন ও আজিজ আল কায়সার টিটোকে ৯ জানুয়ারি দুদকে ডাকা হয়েছে।

অর্থ আত্মসাৎ, অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ সদস্য রেহেনা রহমান ও বেনজীর আহমেদকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২৯ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে তাদেরকে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, এফডিআর করার নামে প্রতিষ্ঠানের অর্থ লোপাট, স্ত্রী-স্বজনদের চাকরি দেয়ার নামে অনৈতিকভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া, সরকারি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে গাড়ি কেনা ও অবৈধভাবে বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার এবং বিভিন্ন অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণের আড়ালে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রেহেনা রহমান ও বেনজীর আহমেদকে তলবের নোটিশ জারি করেছে দুদক।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ‘সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে বর্ণিত অভিযোগ বিষয়ে তাদের বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন বিধায় উল্লিখিত অভিযোগ বিষয়ে বক্তব্য প্রদানের লক্ষ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়ে অনুসন্ধান টিমের নিকট বক্তব্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানে ব্যর্থ হলে বর্ণিত অভিযোগ বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য নেই মর্মে গণ্য করা হবে।’

একই অভিযোগে এর আগে তলব করা হয় আরও দুই ট্রাস্টি এম এ কাসেম ও মোহাম্মদ শাহজাহানকে। তবে ২ জানুয়ারি সকালে তারা হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে অসুস্থতার কথা বলেছেন।

জানা গেছে, অর্থ আত্মসাৎ, অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুই ট্রাস্টি আজিম উদ্দিন ও আজিজ আল কায়সার টিটোকে ৯ জানুয়ারি দুদকে তলব করা হয়েছে।

এদিকে দুদকের ডাকে সাড়া না দেয়াকে ধৃষ্টতা ও আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন বলে উল্লেখ করেছেন নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগকারী সংগঠন আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ড. সুফী সাগর সামস।

তিনি বলেন, ‘এম এ কাসেম বার্ধক্যজনিত কারণে বিশ্রামে আছেন বলে আইনজীবী মারফত জানান। অথচ গত বুধবার তিনি সাউথ-ইস্ট ব্যাংকের বোর্ড মিটিংয়ে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন। অংশ নিয়েছেন নর্থ সাউথের ট্রাস্টি বোর্ডের সভায়ও। দুদকে উপস্থিতির ক্ষেত্রে অসুস্থতার দোহাই দিয়েছেন। আইনের ফাঁক খুঁজে তারা সময়ক্ষেপণ করছেন।’

ড. সুফী সাগর সামস বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি একই প্রক্রিয়ায় অভিযুক্ত ট্রাস্টিরাও দুদকে উপস্থিত না হওয়ার পরিকল্পনা করছেন। অন্যরা যাতে একই রকম অজুহাতে পার পেয়ে না যান সে ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিকল্প নেই।’

এদিকে একটি গোয়েন্দা সংস্থা নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযুক্ত ট্রাস্টিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ট্রাস্টি বিদেশ ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে যাওয়ার পর তাকে ফেরত পাঠানো হয়।

এ বিভাগের আরো খবর