বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে: শিক্ষামন্ত্রী

  •    
  • ২ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:২৯

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যতদূর আমার কথা হয়েছে, সবাই প্রায় একমত যে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ওপরই পরীক্ষা হবে। সাধারণ জ্ঞানের বিষয়টি হয়তো ভিন্ন। দেখা যাক, আশা করি আমাদের শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা হবে না।’

এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ওপর নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে রোববার বিকেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা জানান।

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষার্থীরা কীভাবে পরবর্তী শ্রেণিতে ভর্তি হবেন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘ভর্তির ক্ষেত্রে, এইচএসসিতে যারা ভর্তি হবে বা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবে, তাদের ক্ষেত্রে এইচএসসিতে ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো পরীক্ষা নেই কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভর্তি পরীক্ষা আছে।

‘সে ক্ষেত্রে একটি প্রশ্ন উঠেছে, পরীক্ষা তো দিল সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে; বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা কোন সিলেবাসে হবে? যতদূর আমার কথা হয়েছে, সবাই প্রায় একমত যে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের ওপরই পরীক্ষা হবে। সাধারণ জ্ঞানের বিষয়টি হয়তো ভিন্ন। দেখা যাক, আশা করি আমাদের শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা হবে না।’

দেশে করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন বন্ধ আছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক কার্যক্রম। এর মধ্যে স্কুল খুললেও সেখানে শিক্ষার্থীরা যাচ্ছেন সপ্তাহে নির্দিষ্ট কয়েকটি দিনে। করোনার মধ্যে গত বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে।

স্কুল স্বাভাবিক করতে মার্চ পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ

নতুন বছরে স্কুলে পুরোদমে ক্লাস শুরু করতে অন্তত মার্চ পর্যন্ত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে চায় সরকার।

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি রোববার নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্কুল তো এখন খোলা, চলছে। আমরা গোড়া থেকে এখন চেষ্টা করছি ক্লাসের সংখ্যা আরেকটু বাড়াতে। কিন্তু পুরোপুরি আগের অবস্থায় নিয়ে যেতে পারছি না, যেহেতু সংক্রমণের হার কিছুটা ঊর্ধ্বগামী।

‘মার্চ পর্যন্ত আমাদের একটু দেখতে হবে। কারণ আমাদের এখানে প্রতি বছরই মার্চে সংক্রমণের হার বাড়ছে। এ কারণে এই সময়টার ব্যাপারে আমাদের নজরদারিটা একটু রাখতে হবে। আর যদি আমরা ভালোভাবে পার করতে পারি, আশা করি আমরা স্বাভাবিকের কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারব।’

এই সময়ের মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে করোনা প্রতিরোধী টিকার আওতায় আনতে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মাউশি থেকে নির্দেশনা চলে গেছে সব জায়গায়। গোড়ার দিকে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কিছুটা সমস্যা ছিল, সেই সমস্যা এখন দূর হয়েছে। যেহেতু আমাদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা ছিল, এ কারণে সে সময় একটু ঢিলেমি ছিল আসলে। আর অভিভাবকদের দিক থেকেও আমাদের মনে হয়েছে আগ্রহ একটু কম, যেহেতু সংক্রমণের হার কমে গেছে।

‘আশা করি এখন আবার যেহেতু ওমিক্রনের একটি আশঙ্কা এখন দেখা দিচ্ছে, সবাই আরও উদ্যমী হবে এবং আমর শিগগিরই টিকার কাজটি ভালোভাবে শেষ করতে পারব। সরকার এই এক মাসে তিন কোটি শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে, কাজেই আমি আশাবাদী।’

নতুন বছরে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে করোনাই সবচেয়ে বড় বাধা বলে মনে করছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘গত দুই বছর করোনার কারণে শিক্ষাব্যবস্থার কিছু ক্ষতি তো অবশ্যই হয়েছে। আমরা অনেকভাবে এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে চেষ্টা করেছি।

‘এই ঘাটতি পূরণ এবং এখন যেহেতু আবার করোনার ধারা একটু ঊর্ধ্বগামী, কাজেই আমাদের জন্য আমি মনে করি এ বছরও করোনা পরিস্থিতিটা কেমন হবে সেটা একটা চ্যালেঞ্জ। যদি এটা খারাপ হয়, তাহলে করোনা পরিস্থিতিটা খুব বড় চ্যালেঞ্জ হবে, কারণ আমাদের ঘাটতি পুষিয়ে ওঠার আমরা সময় পাব না।’

তিনি বলেন, ‘আর আরেকটা বিষয় হলো নতুন কারিকুলাম আমরা নিয়ে আসছি; সেটি বাস্তবায়নে গিয়ে এই করোনা যেন বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। এ ছাড়া অন্য যেসব আছে, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব সেটার জন্য তৈরি হওয়া, আমাদের নতুন কারিকুলামে সেটাকে বাস্তবায়ন করা; এর বাইরে তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ দেখি না।

‘আমরা শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি। কারিগরিতে কোনো দিন এত শিক্ষক এভাবে নিয়োগ হয়নি। দুই বছর আমাদের শিক্ষক নিয়োগ আসলে বন্ধই ছিল। কারিগরিতে এখন অনেক শিক্ষক আমাদের নিয়োগ হয়েছে। আমরা সামনের দিনগুলোয় ভালোভাবে এগিয়ে যেতে পারব, যদি আমরা সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি আর করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকে।’

এ বিভাগের আরো খবর