নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং দলের সংসদ সদস্য (এমপি) শামীম ওসমানের বিরোধের কারণে নারায়ণগঞ্জবাসীর সমস্যার সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার।
তিনি বলেন, ‘নগরীতে চলছে আলাল-দুলালের খেলা। আলাল ডানে গেলে, দুলাল যায় বামে। মেয়র যদি বলে ব্রিজ ওইখানে হবে, নগরীতে হকার থাকবে না কিন্তু এমপির সঙ্গে মেলে না। বিরোধের কারণে তারা একসঙ্গে বসতে পারে না। এ কারণে জনগণ বঞ্চিত হয়েছে।’
নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের টানবাজার, মীনাবাজার এবং ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের দেওভোগ ও বঙ্গবন্ধু সড়কের চাষাঢ়া এলাকায় সোমবার প্রচার ও গণসংযোগের সময় এসব কথা বলেন তিনি।
নগরীতে চোর-পুলিশের খেলা চলছে মন্তব্য করে তৈমূর বলেন, ‘পুলিশ মেয়রের কথা শুনবে, নাকি এমপির কথা শুনবে। নগরীতে হকার যারা বসে, তারা পুলিশকে টাকা দিয়ে বসে। পুলিশ এসে এজেন্টের মাধ্যমে টাকা নিয়ে যায়।
‘আবার পুলিশ যখন দৌড়ানি দেয়, হকাররা উঠে যায়। এভাবে চোর-পুলিশের খেলা চলতে পারে না। হকাররাও যেমন মানুষ, আবার তারাই নাগরিক। নগরবাসী যেমন স্বাচ্ছন্দ্যে ফুটপাত দিয়ে হাঁটবে, আবার হকারদেরও বসতে হবে। বিষয়গুলোকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। কিন্তু এমন পরিবেশ এখন নারায়ণগঞ্জে নেই।’
তিনি বলেন, ‘আমি সবার সঙ্গেই বসতে রাজি আছি জনগণের স্বার্থে। আমি ব্যক্তিগত স্বার্থে কখনও কোনো দিন কারও ক্ষতি করিনি। আমার কাজ নারায়ণগঞ্জের মানুষ অবশ্যই মূল্যায়ন করবে। আমি যে কথাগুলো বলি সবই দিনের আলোর মতো সত্য।’
নৌকার প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীকে উদ্দেশ করে তৈমূর বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের পূর্ব ও পশ্চিম পাড় একিত্রত করতে পারলেন না এত বছরেও। শীতলক্ষ্যা ব্রিজও হলো না। এসব সমস্যাসহ নগরীর সব সমস্যা সমাধানে আমাকে যার কাছে, যেখানে যাওয়া দরকার আমি সেখানে যাব। সমস্যা সমাধানের জন্য শত্রুর সঙ্গেও বসতে রাজি।’
বিএনরি নেতা তৈমূর বলেন, ‘নির্বাচন করছি, ইভিএমে যদি কোনো কারচুপি হয়, এটার জবাব নারায়ণগঞ্জ থেকেই দিয়ে দেয়া হবে।’