বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এক যুগে ২ কোটি ১০ লাখ কর্মসংস্থান: অর্থমন্ত্রী

  •    
  • ২ জানুয়ারি, ২০২২ ১৯:১৮

অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, ‘গত এক যুগে দারিদ্র্য ও হতদারিদ্র্যের হার অর্ধেক কমেছে। এই সময়ে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ। মাথাপিছু আয় ৬৮৬ ডলার থেকে চার গুণ বেড়ে ২ হাজার ৫৫৪ ডলার ছাড়িয়েছে। শিক্ষার হার ৫৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।’ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশের উত্তরণ স্বাধীনতার পর জাতীয় পর্যায়ে সবচেয়ে বড় অর্জন বলেও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

গত এক যুগে দারিদ্র্য ও হতদারিদ্র্যের হার অর্ধেকে নেমেছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এই সময়ে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ।

রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উদযাপন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘গত এক যুগে দারিদ্র্য ও হতদারিদ্র্যের হার অর্ধেক কমেছে। এই সময়ে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ। মাথাপিছু আয় ৬৮৬ ডলার থেকে চার গুণ বেড়ে ২ হাজার ৫৫৪ ডলার ছাড়িয়েছে। শিক্ষার হার ৫৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।’

প্রবাসীদের পাঠানো আয় তথা রেমিট্যান্স ৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে প্রায় ১৭শ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

স্বল্পোন্নত (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশের উত্তরণ স্বাধীনতার পর জাতীয় পর্যায়ে সবচেয়ে বড় অর্জন বলেও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বিদায়ী ২০২১ সালটি ছিল আমাদের জন্য বিশেষ একটি বছর। এ বছরটিতে একদিকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করেছি, অন্যদিকে এলডিসি থেকে বের হয়ে উন্নয়শীল দেশে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। এই ঘটনা বাঙালি জাতির গৌরবগাথায় যুক্ত হয়েছে আরেকটি নতুন অধ্যায়।’

গত ২৪ নভেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।

এর আগে ২০২১ সালের ফ্রেব্রয়ারিতে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভলপমেন্ট পলিসি এলডিসি থেকে উত্তরণে যোগ্যতা অর্জনের সুপারিশ করে।

জাতিসংঘের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির পরিপ্রেক্ষিতে, এই অর্জনকে জাতির সামনে তুলে ধরতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সরকার।

স্বীকৃতি পাওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী প্রস্তুতির জন্য তিন বছর অপেক্ষা করতে হয়। সে অনুযায়ী ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে বের হয়ে যাওয়ার কথা।

কিন্তু উত্তরণ প্রক্রিয়া মসৃণ ও টেকসই করা এবং করোনার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে বাড়তি ২ বছর সময় পেয়েছে বাংলাদেশ। ফলে ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাবে বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে বর্তমান সরকারের অর্থনীতির অগ্রগতির ফিরিস্তি তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। বলেন, ‘গত ১২ বছরে অর্থনীতিতে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে।’

করোনার সময় যখন সারা বিশ্বের অর্থনীতি ৩ দশমিক ১ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে, তখন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সকল সূচক ছিল ঊর্ধ্বমুখী।

তিনি জানান, অর্থনীতির আকার ১০০ বিলিয়ন ডলার অর্জন করতে ৩৮ বছর লেগেছে।

অথচ, গত ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতির আকার চার গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৪১১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

আমি বিশ্বাস করি, ‘অর্থনীতির আকার আগামী অর্থবছরে ৫০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে।’

এ সময় শিক্ষা, কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, রপ্তানিসহ অর্থনীতির নানা সূচকের অগ্রগতি তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী।

পণ্য রপ্তানি ১৪ বিলিয়ন ডলার থেকে তিন গুণ বেড়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৬ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার থেকে সাত গুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়ে ৪৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

প্রত্যাশা করছি, চলতি অর্থবছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করবে মন্তব্য করেন মুস্তফা কামাল।

২০০৮ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান ‍ছিল ৬০তম। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, আপনার গতিশীল নেতৃত্বে আমরা এখন ৪১তম স্থানে চলে এসেছি।

২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ এবং ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন অর্থমন্ত্রী।

এ বিভাগের আরো খবর