নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ির অভিযোগ এনে তা রোধে গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেলিনা হয়াৎ আইভী।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি হচ্ছে বলে জেনেছি। তবে সত্য-মিথ্যা আমি জানি না, কিন্তু এটা উদ্বেগজনক। এসব কর্মকাণ্ড পরিহার করা ভালো।’
সিদ্ধিরগঞ্জের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াপদা ক্যানেল ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রেললাইন এলাকায় রোববার দুপুরে নির্বাচনি প্রচর ও গণসংযোগ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আইভী বলেন, ‘আমি মনে করি, ১৬ জানুয়ারির নির্বাচনে নৌকা বিজয়ী হবে। সব প্রার্থী শুধু আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। কিন্তু আমি কারও বিরেুদ্ধে কোনো অভিযোগ তুলছি না।’
নারী বলেই সব প্রার্থীর অভিযোগের তির তার দিকে বলে মন্তব্যও করেন তিনি।
ইভিএম প্রসঙ্গে আইভী বলেন, ‘নতুন প্রযুক্তিকে আমাদের স্বাগত জানাতে হবে। আমি ২০১১ সালের নির্বাচনে কোনো শঙ্কা প্রকাশ করেনি। তাহলে এবারের নির্বাচনে কেন শঙ্কা প্রকাশ করব। আমি অবশ্যই চাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হবে। ভোটের মাধ্যমে যিনি বিজয়ী হবেন, তিনিই আগামীতে দায়িত্ব নেবেন।’
নির্বাচন মানেই চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে নৌকার প্রার্থী বলেন, ‘জেলায় ধর্ম নিয়ে সবচেয়ে বেশি অপপ্রচার চালানো হয়। ট্যাক্সের বিষয়েও অনেক কথা বলা হয়েছে। সব চ্যালেঞ্জ নিয়েই আমি নির্বাচনের মাঠে নেমেছি।’
২০১১-এর অক্টোবর ও ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের সিটি নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী আইভী এবার টানা তৃতীয় জয়ের আশায়। এবার তার লড়াই জমবে বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকারের সঙ্গে।
বিএনপি গত নির্বাচনে ধানের শীষ তুলে দিয়েছিল শাখাওয়াত হোসেনের হাতে। তবে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত তাদের। যদিও তৈমূর বিএনপির পুরো সমর্থনই পাচ্ছেন।
শাখাওয়াতসহ দলের দুজন নেতা মেয়র পদে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েও তা তুলে নিয়েছেন তৈমূরের জন্যই। বিএনপি নেতা দলের প্রতীক না পেয়ে বেছে নিয়েছেন হাতি। বলছেন, তার মুখমণ্ডলই ধানের শীষ।