বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৮৩ দিনে সবচেয়ে বেশি রোগী, হার তিন মাসে সর্বোচ্চ

  •    
  • ২ জানুয়ারি, ২০২২ ১৭:৩৪

গত ২৪ ঘণ্টায় যত জনের পরীক্ষা করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ২ দশমিক ৯১ জনের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি ধরা পড়েছে। এর আগে গত ৭ অক্টোবর শনাক্তের হার ছিল ২.৯৭ শতাংশ।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে চলার ধারাবাহিকতায় পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার এখন তিন ছুঁই ছুঁই। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের এই হার গত ৮৭ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ।

২৪ ঘণ্টায় করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যাও ৮৩ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে। শনিবার সকাল আটটা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনা পরীক্ষা হয়েছে ১৯ হাজার ১৩০ জনের। এদের মধ্যে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ৫৫৭ জন। করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের।

৮৩ দিন আগে গত ১১ অক্টোবর রোগীর সংখ্যা ছিল এর চেয়ে বেশি, ৫৯৯ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় যত জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ২ দশমিক ৯১ জনের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি ধরা পড়েছে। এর আগে গত ৭ অক্টোবর শনাক্তের হার ছিল ২.৯৭ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে রোববার বিকেলে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে এ নিয়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৫ লাখ ৮৬ হাজার ৪৮১ জনের শরীরে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৭৭ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৫২টি ল্যাবে ১৯ হাজার ১৩০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ২ দশমিক ৯১ শতাংশ।

মৃত্যু ব্যক্তি নারী। তার তার বয়স ৪০ বছরের বেশি। তিনি রংপুর বিভাগের বাসিন্দা। করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

তিন মাস নিয়ন্ত্রণে থাকার পর আবার ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বুলেটিনে বলা হয়েছে, সপ্তাহের ব্যবধানে সংক্রমণ ৬০ শতাংশ বেড়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য থেকে জানা যায়, করোনায় গত ডিসেম্বরে ৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে, এর মধ্যে ৮২ শতাংশই টিকা নেননি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী, দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহ নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে সে দেশের করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বলে ধরা হয়।

সে অনুযায়ী বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে সরকারের লক্ষ্য এই হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা। তা সম্ভব হচ্ছে না। বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও বাড়ছে শনাক্ত হার।

এর মধ্যে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনও দেশে শনাক্ত হয়েছে। এই ধরন অনেক বেশি সংক্রামক বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ওমিক্রন যাতে দ্রুত গতিতে ছড়াতে না পেরে সেজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে সরকার থেকে জানানো হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর