সিরাজগঞ্জে ৩০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগের করা দুটি মামলায় জেলা বিএনপির সহসভাপতিসহ চারজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
সিরাজগঞ্জ মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে রোববার তাদের তোলা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
যাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে, তারা হলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাশদেুল হাসান রঞ্জন, বিএনপি কর্মী রেজাউল করিম ও ইমন বাশার।
নিউজবাংলাকে এসব নিশ্চিত করেছেন আদালত পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ সরকার ১৫০ জনকে এবং সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মুন্না আহমেদ ১২২ জনকে আসামি করে শনিবার রাতে সদর থানায় দুটি মামলা করেন। এসব মামলায় এদিন রাতেই শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল কুমার দত্ত নিউজবাংলাকে বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর সংঘর্ষের ঘটনায় হওয়া একাধিক মামলার আসামি তারা। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
থেমে নেই বিএনপি। রোববার দুপুরে দলের পক্ষে ১২৩ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেছেন নাসির উদ্দিন নামে এক কর্মী।
এ নিয়ে ৩০ ডিসেম্বর সংঘর্ষের ঘটনায় সাত মামলায় আসামি হয়েছেন দুই হাজার ১৯৫ জন। এর মধ্যে তিনটি মামলা করেছে পুলিশ; আরেকটি স্থায়ীয় এক ব্যবসায়ী।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে ৩০ ডিসেম্বর শহরের ইসলামিয়া সরকারি কলেজ মাঠে সমাবেশের আয়োজন করে দলটি। এদিন দুপুরে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে। এতে আহত হন দুই পক্ষের শতাধিক মানুষ। সংঘর্ষে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দেখা যায় চার যুবককে।
- আরও পড়ুন: অস্ত্রধারী সেই যুবকদের খোঁজে
আগ্নেয়াস্ত্রধারীদের যুবলীগের কর্মী দাবি করছে বিএনপি। নিউজবাংলার কাছে তিনজনের পরিচয়ও প্রকাশ করে দলটি। তবে অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই যুবকদের খোঁজে আছেন তারাও।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ ও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি দেখে অস্ত্রধারীদের শনাক্তের কাজ চলছে। শিগগিরই তারা গ্রেপ্তার হবেন।’