ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের মামলায় গ্রেপ্তার দুই চালককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
রোববার রাজধানীর মতিঝিলে স্থাপিত নৌ আদালতের বিশেষ বিচারক (যুগ্ম জজ) জয়নব বেগম এ আদেশ দেন।
আদালতে এদিন এই দুই আসামির পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে কারাগারে যাওয়ার আদেশ পাওয়া দুজন হলেন লঞ্চের দায়িত্বপ্রাপ্ত চালক মাসুম বিল্লাহ ও দ্বিতীয় চালক আবুল কালাম।
শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘তারা দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সাধ্যমতো চেষ্টা করেও সফল হননি। এতে তাদের অবহেলা ছিল না। তাই তাদের জামিনের প্রার্থনা করছি৷
‘তারা তাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাই যেকোনো শর্তে তাদের জামিন দেয়া হোক। তারা নিজেরাও এই দুর্ঘটনায় মারা যেতে পারতেন। ’
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রসিকিউটিং অফিসার বেল্লাল হোসাইন। তিনি আসামিদের জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, ‘ইঞ্জিন রুমের সার্বিক দায়িত্ব ইঞ্জিন ড্রাইভারদের ওপর বর্তায়। তারা কেবল দায়িত্বে অবহেলাই করেননি, অগ্নিকাণ্ডের পর তাদের ভূমিকা ছিল ধৃষ্টতাপূর্ণ ও পলায়নপর।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইঞ্জিন রুম থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। তারা যদি দায়িত্বশীলতার সঙ্গে তদারক করে সঠিকভাবে ইঞ্জিন রুম পরিচালনা করতেন; তাহলে হয়তো স্মরণকালের এই ভয়াবহ ট্র্যাজেডি এড়ানো যেত। কিন্তু তারা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেননি।’
এর আগে গত সপ্তাহে লঞ্চের ওই দুই চালক আত্মসমর্পণ করার পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। এর পর থেকে তারা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।
গত ২৩ ডিসেম্বর ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও নিহতের ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক শফিকুর রহমান একটি মামলা করেন। ওই মামলায় লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখসহ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।