করোনা মহামারির মধ্যে ভার্চুয়াল আদালত গঠনের কারণে মামলার জট কিছুটা কমানো গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে রোববার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।
চলমান মামলার জটের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মামলার জট বেড়েছে। করোনা মাহামারি পরিস্থিতিতে এই জট আরও বাড়ার কথা ছিল। কিন্তু ভার্চুয়াল কোর্ট আইন করে দুই লাখ মামলা নিষ্পত্তি করতে পেরেছি। আইন না করলে এই দুই লাখ মামলা যুক্ত হতো।’
‘এখন যেসব মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে সেটাই আছে। আমরা কিছুটা হলেও কমাতে পেরেছি’ যোগ করেন তিনি।
নতুন বছরে সরকারের জন্য কোনো চ্যালেঞ্জ আছে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয় চ্যালেঞ্জগুলো আগেই সেট করে ফেলেছিলাম। এখন চ্যালেঞ্জ ডেলিভারির সময় হয়ে গেছে। পদ্মা সেতু প্রজেক্টের কাজ প্রায় শেষ। যেসব মেগা প্রজেক্ট নেয়া হয়েছিল সবগুলো ডিসেম্বর বা জুনের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে। মেগা চ্যালেঞ্জগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ডেলিভারি করার জন্য প্রস্তুত।’
‘আমরা জনসেবায় বিশ্বাস করি। সেবার মান উন্নয়ন ও সেবা জনগণকে পৌঁছে দেয়াটাই আমাদের কাজ। এই কাজ করাটাকেই আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিই। আমাদের সব প্রোগ্রামই জনবান্ধব। জনবান্ধব প্রোগ্রামগুলো জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে আমরা চেষ্টা করব।’
তিনি বলেন, ‘কাকে বিদেশ পাঠানো হবে আর কাকে বিদেশ পাঠানো হবে না দ্যাট ইজ নট দ্য প্রায়োরিটি। প্রায়োরিটি হচ্ছে যে সেবাগুলো জনগণের অনেক আগে পাওয়া উচিত ছিল, সেগুলো আজ তাদের কাছে পৌঁছে দেয়ার মতো সময় এসেছে, আমরা পৌঁছে দেব।
‘সত্যিকারে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে। এ লক্ষ্যে পৌঁছাতে যা যা করার সেগুলো আমরা করতে প্রস্তুত হব। সেসব করার জন্য আরও জোরালোভাবে এগোতে হবে। আমার মনে হয় সামনের জাতীয় নির্বাচনে অবশ্যই জনগণ বুঝবে যে কারা তাদের সেবা করেছে আর কারা নিজেদের সেবা করার জন্য বক্তব্য দিয়েছে। আমার মনে হয় না সেখানে জনগণ ভুল করবে।’