মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও বাহিনীর বর্তমান-সাবেক ৭ কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার জবাবে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের স্বাক্ষর সংবলিত চিঠিটি গত ৩১ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেনের উদ্দেশে পাঠানো হয়।
এ চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন রোববার সিলেটে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই ইস্যুটি পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ রয়েছে। আমরা এ কথাটাই চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছি।’
মোমেন বলেন, ‘সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রশ্নে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে আনুষ্ঠানিক জবাব পাঠিয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আমি চিঠিতে বলেছি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের অনেক দিনের সম্পর্ক। তাদের সঙ্গে আমাদের ডায়ালগের সুযোগ রয়েছে। কোনো কিছু না জেনে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা বিস্মিত করেছে এবং এটি ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত।
‘আমি এও বলেছি, র্যাব যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য সংস্থা এবং এ কারণেই সন্ত্রাস কমেছে, মাদক পাচার, মানবপাচার কমেছে। বিশ্ব নিয়ে মার্কিনিদের যে লক্ষ্য, তাই তারা পালন করছে। তাই এ নিষেধাজ্ঞা আশ্চর্যজনক মনে হয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যে অভিযোগ উঠেছে, সেখানে তারা বলেছে, গত ১০ বছরে বাংলাদেশে ৬০০ লোক মিসিং হয়েছে; র্যাব এটা করেছে। কিন্তু আপনার দেশে প্রতি বছর লাখখানেক লোক মিসিং হয়। শখানেক লোক আপনাদের পুলিশই মেরে ফেলে।
‘আপনারা এগুলোকে বলেন ইন দ্য লাইন অব ডিউটি। আর আমাদের দেশে পুলিশ এটা করলে বলে বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। এগুলো তো হাসির মতো খোরাক। এই ইস্যুটি পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ রয়েছে। আমরা এ কথাটাই চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছি।’
নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপের বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এর আগে গত মাসে যখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা হলো তখন তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকারের নীতিই হলো মানবাধিকার ও গণতন্ত্র। এর উত্তরে আমি বলেছি, বাংলাদেশ গণতন্ত্রের জন্যই স্বাধীন হয়েছে।’