বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাষ্ট্রপতির সংলাপ সফল হবে: আইনমন্ত্রী

  •    
  • ২ জানুয়ারি, ২০২২ ১৪:৫৪

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আর আমি আপনাদের বলব এই সংলাপ ব্যর্থ হচ্ছে না, সফল হচ্ছে, এই সংলাপ শেষ হওয়ার পর মহামান্য রাষ্ট্রপতি কী পদক্ষেপ নেন, সেটা দেখার পর আপনারা বুঝবেন। সেই পর্যন্ত আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে।’

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির ডাকা সংলাপ ব্যর্থ হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করলেও তা সফল হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এ জন্য সংলাপের শেষ পর্যন্ত সবাইকে অপেক্ষা করতে আহ্বান জানালেন তিনি।

সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে রোববার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ কাজে আসবে না বলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান যে মন্তব্য করেছেন, তা আইনমন্ত্রীর নজরে আনা হয়।

জবাবে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে দুটো কথা বলব। একটা হচ্ছে যে, বাংলাদেশে বাকস্বাধীনতা আছে, বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক তার অভিমত ব্যক্ত করতে পারেন। আমরা মনে হয় তিনি অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তিনি এটা করতেই পারেন।

‘আর আমি আপনাদের বলব এই সংলাপ ব্যর্থ হচ্ছে না, সফল হচ্ছে, এই সংলাপ শেষ হওয়ার পর মহামান্য রাষ্ট্রপতি কী পদক্ষেপ নেন, সেটা দেখার পর আপনারা বুঝবেন। সেই পর্যন্ত আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে।’

অনেক রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশন আইন করার আহ্বান জানাচ্ছে। আইনমন্ত্রী জানালেন, এই সময়ের মধ্যে আইন করার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, ‘আইন হবে না, এই কথা আমি বলিনি। আমি বলেছি, এই আইনটা হবে। এই আইনটা এমন একটা আইন হওয়া উচিত, যেটা গ্রহণযোগ্য হবে সবার কাছে। শুধু এক দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হলে তো এটা সর্বজনীন আইন হলো না।’

নতুন নির্বাচন কমিশন কেমন হবে, তা সংলাপের ওপর নির্ভর করবে বলে জানান আইনমন্ত্রী।

স্বাধীনতার ৫০ বছরেও নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে কোনো আইন তৈরি হয়নি দেশে। তবে সংবিধান অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির হাতে।

২০১২ সাল থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে চার কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে দেশে।

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ২০১২ সালে এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০১৭ সালে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দিয়েছিলেন।

সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘(১) প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনারকে লইয়া বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকিবে এবং উক্ত বিষয়ে প্রণীত কোন আইনের বিধানাবলী-সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগদান করিবেন।’

তবে সংবিধানের আলোকে ওই আইন না হওয়ায় প্রতিবারই নির্বাচন কমিশন গঠনে জটিলতা দেখা দেয়। সেই জটিলতা এড়াতে শেষ দুবার সার্চ কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা হলেও বিতর্ক থামেনি।

বিএনপি নেতারা প্রতিদিনই বলছেন, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সার্চ কমিটি তারা মানেন না। তারা নির্বাচন কমিশন গঠনের চেয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চান।

রাজপথে আওয়ামী লীগের প্রধান বিরোধী বিএনপি সংলাপে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আনিসুল হক বলেন, ‘আমি বিএনপির উদ্দেশে এ কথাই বলতে চাই। যে দেখেন দেশ হচ্ছে সবার ঊর্ধ্বে, দেশের স্বার্থে আপনারা যদি এই সংলাপে আসেন, সেটা আপনাদের জন্য ভালো হবে, সকলের জন্য ভালো হবে। সেটা যদি না করেন, সেটা ওনাদের সিদ্ধান্ত।

‘অনেকে বলেন টক্সিক সিচুয়েশন, এই টক্সিক সিচুয়েশন ওনারা যদি মনে করেন, এটা টক্সিক সিচুয়েশন, তাহলে ওনাদের আমার মনে হয় টক্সিক সিচুয়েশন থেকে বেরোনোর জন্য কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। সংলাপে গেলে আমাদের মনে হয় সেটা পজিটিভ হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর