রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে আগামী ৫ জানুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদের পঞ্চম ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে ইউনিয়নে জমে উঠেছে শেষ মুহূর্তের প্রচার।প্রার্থীদের পোস্টার ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে নির্বাচনি এলাকা। এসব ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না নির্বাচনি বিধিনিষেধ। এমনকি বিধিনিষেধ প্রয়োগে নির্বাচন কর্মকর্তাদের কোনো তৎপরতাও চোখে পড়েনি।
পাংশা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশা ভেজা সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের বাড়িতে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। তবে নিয়মের তোয়াক্কা না করেই চলছে তাদের প্রচারণা।
নির্বাচনি বিধিতে রয়েছে প্রার্থীদের পোস্টার দড়ি দিয়ে টাঙানোর কথা। কিন্তু সেটি না মেনে স্কুল, বাড়ি ও ঈদগা মাঠের দেয়ালে দেদার লাগানো হচ্ছে পোস্টার। এমনকি শৌচাগারের দেয়াল ও গাছেও লাগানো হচ্ছে পোস্টার।
স্কুলের দেয়ালেও লাগানো হয়েছে পোস্টার। ছবি: নিউজবাংলা
এ ছাড়া মিছিল বা শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ থাকলেও বাহারি ঢঙের মিছিল ও শোভাযাত্রা দেখা যাচ্ছে নির্বাচনি এলাকায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, তাদের টিনের ঘরে পোস্টার লাগানো হয়েছে। এতে কিছু দিন পর টিনে মরিচা ধরবে। সব প্রার্থীর লোকজনই এসে পোস্টার লাগায়।
স্থানীয় মাজেদ হোসেন নামে একজন জানান, এলাকায় অনেকেই এসব নিয়ম মানে না। নির্বাচন মানেই উৎসব। সবাই খুব উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে যেখানে পায় সেখানেই পোস্টার লাগায়।
তবে প্রার্থীদের দাবি, তারা আচরণবিধি মেনেই পোস্টার লাগাচ্ছেন।
পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. হুমায়ূন কবির শাকিল জানান, তিনি বা নির্বাচনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িতরা এ আচরণবিধি ভাঙছে না। তবে অতি উৎসাহী কোনো সমর্থক এ ধরনের কাজ করতে পারে। তার কর্মীরাও বিধি মেনেই নির্বাচনি প্রচার চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।
যেখানে-সেখানে লাগানো হচ্ছে পোস্টার। ছবি: নিউজবাংলা
একই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সজীব হোসেন জানান, তিনি ও তার কর্মীরা নির্বাচনি আচরণবিধি মেনেই প্রচার চালাচ্ছেন। দেয়াল বা গাছে পোস্টার লাগানো হয়নি। তবে, এ রকম হয়ে থাকলে তা করতে নিষেধ করবেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান নিউজবাংলাকে জানান, প্রতিটি উপজেলাতেই তাদের রির্টানিং কর্মকর্তা রয়েছে। একই সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করছেন। আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন তারা।জেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানা যায়, পাংশা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে মোট চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন ৪৯ জন, সাধারণ সদস্য প্রার্থী ৩৩৫ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী ১০৭ জন।