বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সামিন ফুডে একীভূত হচ্ছে আরএন স্পিনিং

  •    
  • ২ জানুয়ারি, ২০২২ ১১:৪১

এমন খবরে রোববার কোম্পানির শেয়ারের কোনো বিক্রেতা ছিল না। দিনের সর্বোচ্চ দরে লেনদেনে এক ঘণ্টায় অবস্থান ছিল আরএন স্পিনিং মিলসের।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি আরএন স্পিনিং মিলস একীভূত হচ্ছে সামিন ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড টেক্সটাইল মিলসের সঙ্গে।

গত ৩০ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠান দুটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে একীভূতকরণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত হয় বলে রোববার ডিএসইর ওয়েবসাইটে জানানো হয়।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন সাপেক্ষে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আর এ জন্য হাইকোর্টের অনুমোদনও প্রয়োজন হবে।

বিনিয়োগকারীদের এ বিষয়ে অবগত করতে বলা হয়েছে, সামিন ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড টেক্সটাইল মিলস আরএন স্পিনিং মিলসের সমজাতীয় পণ্য উৎপাদন করে। গাজীপুরে কোম্পানিটির ৭৯ হাজার ৮৪৮টি স্পিন্ডল রয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে বাণিজ্যিক কার্যক্রমে থাকা কোম্পানিটি তুলা, ভিসকস ও সিভিসি সুতার উৎপাদন করছে।

বলা হয়েছে, উভয় কোম্পানি এখন একই ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে।

ফলে একীভূতকরণ কার্যক্রম সফলভাবে শেষ হলে আরএন স্পিনিং মিলস নামের কোনো কোম্পানি পুঁজিবাজারে থাকবে কী থাকবে না, সেটি নতুন পরিচালনা কমিটি নির্ধারণ করবে।

এমন খবরে রোববার কোম্পানির শেয়ারের কোনো বিক্রেতা ছিল না। দিনের সর্বোচ্চ দরে লেনদেনে এক ঘণ্টায় অবস্থান ছিল আরএন স্পিনিং মিলসের।

২০১৯ সালে কুমিল্লায় কোম্পানিটির কারখানা আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর ওই বছর শেয়ারপ্রতি ১৫ টাকা ৪৭ পয়সা লোকসান দেয় কোম্পানিটি। এই ঘটনায় শেয়ারদর তলানিতে নামে।

সম্প্রতি কোম্পানিটি আবার মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি করতে এলসি খুলেছে, এমন গুঞ্জনে শেয়ারদরে দেখা দেয় উল্লম্ফন। গত বছরের এপ্রিলের শুরুতেও শেয়ারদর ছিল ৩ টাকা ৭০ পয়সা। সেখান থেকে বেড়ে ৮ টাকা ৯০ পয়সা হয়ে যায় আগস্টের শেষে।

অবশ্য এরপর থেকে দাম কিছুটা কমে। এখন লেনদেন হচ্ছে ৬ টাকা ৬০ পয়সায়।

২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আলোচিত এই কোম্পানিটি তিন বছর লভ্যাংশ দেয়ার পর ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত টানা চার বছর কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। এরপর ২০১৬ ও ২০১৭ সালের জন্য ২০ শতাংশ করে এবং ২০১৮ সালে আবার ১০ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদান করে।

এর আগের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের দুই কোম্পানি বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস (বিএসআরএম) লিমিটেড এবং বিএসআরএম স্টিল মিলস লিমিটেড গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারিতে একীভূত হয়েছে।

এ ছাড়া গত বছরের সেপ্টেম্বরে সিমেন্ট খাতের কোম্পানি লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট লিমিটেডের সঙ্গে হোলসিম সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেডের একীভূত হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর