বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে পিটুনি

  •    
  • ২ জানুয়ারি, ২০২২ ০১:৫৬

প্রিসাইডিং কর্মকর্তা প্রভাষ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘প্রভাবিত না হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ করেছি। ভোট গণনা শেষে চলে যাওয়ার সময় বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে একটি বাক্স ভুলে থেকে যায়। এই বাক্সটি আজকে নিতে এলে পরাজিত মেম্বারদের লোকজন আমাকে মারধর করেন।’

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় পিটুনির শিকার হয়েছেন সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের এক প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।

শনিবার উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের কাচারীভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এই নির্বাচনের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্র ছিল এটি।

পিটুনির শিকার কর্মকর্তার নাম প্রভাষ চন্দ্র মণ্ডল। তিনি কোটালীপাড়া কাজী মন্টু কলেজের প্রভাষক।

জানা গেছে, শনিবার স্কুল খোলার পর প্রধান শিক্ষক লাইব্রেরি কক্ষে একটি ফাঁকা ব্যালট বাক্স দেখতে পেয়ে প্রশাসনকে জানান। বিষয়টি জানার পর দুপুরে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা প্রভাষ চন্দ্র ব্যালট বাক্সটি আনতে ওই স্কুলে যান।

এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পরাজিত ওয়ার্ড সদস্য পদপ্রার্থী মো. ফারুক বেপারীর লোকজন প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে পিটুনি দেন। কোটালীপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তুষার মধু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তাই নির্বাচনের দিন শুধু সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে পাঁচ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এদের মধ্যে নুরুল হক হাওলাদার ৪৬৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. ফারুক বেপারী পান ৪০৯ ভোট।

মো. ফারুক বেপারী বলেন, ‘প্রিসাইডিং অফিসার প্রভাষ চন্দ্র মণ্ডল আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নুরুল হক হাওলাদারের কাছ থেকে টাকা খেয়ে আমাকে পরাজিত করেছেন। এই ওয়ার্ডে পুনরায় ভোট করা উচিত।’

প্রিসাইডিং কর্মকর্তা প্রভাষ চন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘প্রভাবিত না হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ করেছি। ভোট গণনা শেষে চলে যাওয়ার সময় বিদ্যালয়ের অফিসকক্ষে একটি বাক্স ভুলে থেকে যায়। এই বাক্সটি আজকে নিতে এলে পরাজিত মেম্বারদের লোকজন আমাকে মারধর করেন।’

বিজয়ী সদস্য প্রার্থী নুরুল হক হাওলাদার বলেন, ‘গত ২৬ ডিসেম্বর কান্দি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কাচারীভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমি টাকা-পয়সা দিয়ে কাউকে প্রভাবিত করিনি।’

কোটালীপাড়া থানার এসআই আব্দুল করিম বলেন, ‘কাচারীভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রিসাইডিং অফিসার প্রভাষ চন্দ্র মণ্ডল ও একটি ব্যালট বাক্স উদ্ধার করে রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা কৃষি অফিসার নিটুল রায়ের কাছে পৌঁছে দিয়েছি।’

কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার খায়রুল হাসান বলে, ‘এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসারই ভালো বলতে পারবেন।’ তবে রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা কৃষি অফিসার নিটুল রায় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিভাগের আরো খবর