বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘নতুন কথা নেই’ জানিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপে যাচ্ছে না সিপিবি

  •    
  • ১ জানুয়ারি, ২০২২ ২০:০১

‘সিপিবি নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের জন্য সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বসহ ৫৩টি সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের সুপারিশমালা ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে আপনার কাছে প্রদান করেছিল। এ অবস্থায়, হুবহু একই আলোচ্যসূচিতে ও একই প্রকরণের আরেকটি সংলাপে যোগ দিয়ে সিপিবির নতুন কোনো কথা বলার নেই। সে কারণে তাতে যোগদান করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছি না।’

বিএনপির মতোই নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপ বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বামপন্থি দল বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি। আগের দুটি সংলাপে অংশ নেয়া দলটি রাষ্ট্রপতিকে চিঠিতে বলেছে, তাদের নতুন কিছু বলার নেই। ফলে আলোচনার জন্য যাওয়া ‘অর্থহীন’।

আগামী সোমবার সিপিবিকে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বঙ্গভবন। তার দুই দিন আগে শনিবার দলটি পাল্টা চিঠি পাঠায় রাষ্ট্রপতির দপ্তরে।

এতে আগের সংলাপে সিপিবির দেয়া পরামর্শের উল্লেখ করে বলা হয়, ‘সিপিবি নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের জন্য সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বসহ ৫৩টি সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের সুপারিশমালা ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে আপনার কাছে প্রদান করেছিল। এ অবস্থায়, হুবহু একই আলোচ্যসূচিতে ও একই প্রকরণের আরেকটি সংলাপে যোগ দিয়ে সিপিবির নতুন কোনো কথা বলার নেই। সে কারণে তাতে যোগদান করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করছি না।’

নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন থাকা একান্তভাবে প্রয়োজন উল্লেখ করে দলটি আরও বলে, ‘অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সেটাই যথেষ্ট নয়। নির্বাচন ব্যবস্থার মৌলিক গলদ দূর করতে না পারলে অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা যাবে না।’

তাদের দৃষ্টিতে পাঁচ বছর আগে তারা যেসব প্রস্তাব রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছিল, সেগুলো নির্বাচন ব্যবস্থার গলদ দূর করতে পারত।

২০১৩ সালে রকিবউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্ব আর ২০১৮ সালে কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন গঠনের আগেও রাষ্ট্রপতি সংলাপ করেছিলেন সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে।

এবার তৃতীয়বারের মতো এই উদ্যোগ নিয়েছে বঙ্গভবন।

গত ২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই সংলাপে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ পন্থি দলগুলোই অংশ নিয়েছে। বিএনপি জানিয়েছে, তারা বঙ্গভবনে যাচ্ছে না।

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক চিঠিতে রাষ্ট্রপতিকে বলেন, ‘বিএনপি মনে করে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং নিরপেক্ষ প্রশাসনের সাংবিধানিক নিশ্চয়তা ব্যতীত নির্বাচন কমিশনের গঠন নিয়ে সংলাপ শুধু সময়ের অপচয়।’

আগামী ফেব্রুয়ারিতে হুদা কমিশনের মেয়াদ শেষে যে কমিশন গঠন হতে যাচ্ছে, তাদেরই আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করার কথা। তবে সংলাপে গঠন করা দুটি কমিশনের দুটি জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি ও তার সমমনা এবং সিপিবির ব্যাপক আপত্তি আছে। তারা মনে করে, ওই দুটি নির্বাচনে জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীদেরকে নির্বাচিত করার সুযোগ পায়নি।

বিএনপির পর বামপন্থি বাসদ, ধর্মভিত্তিক দল ইসলামী আন্দোলনও সংলাপ বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বঙ্গভবনে না গেলেও আমন্ত্রণ জানানোর জন্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সিপিবি। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতিকে দেয়া চিঠিতে তারা বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছে।

এতে জাতীয় সংসদকে ‘জরুরি বার্তা’ পাঠিয়ে এক মাসের মধ্যে নির্বাচন কমিশন আইন করতে বলার জন্য রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করা হয়। বলা হয়, এই আইন হলে নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের প্রয়োজন পড়বে না।

এ বিভাগের আরো খবর